New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/06/susmita.jpg)
প্রাক্তনকে হুঁশিয়ারি অনির্বাণের?
প্রাক্তনকে হুঁশিয়ারি অনির্বাণের?
Susmita On Anirban Post: বাংলা মেগার অত্যন্ত পরিচিত মুখ সুস্মিতা দে। 'পঞ্চমী', 'অপরাজিতা অপু', 'বউমা একঘর'- এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করে ছোট পর্দার দর্শকের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন। এখন অবশ্য 'কথা' বলেই বেশি জনপ্রিয়। সাহেব-সুস্মিতার অন স্ক্রিন কেমেস্ট্রি দর্শক একেবারে চেটেপুটে উপভোগ করছে। টিআরপি তালিকাতেও প্রথম ১০-এ জায়গা পায় এই ধারাবাহিকটি।
সুস্মিতা যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছনোর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন তখন যেন অতীতের ছায়া পড়ল 'কথা'-র জীবনে? সোশ্যাল মিডিয়ায় সুস্মিতার প্রাক্তন অনির্বাণ রায়ের পোস্ট যেন সেই জল্পনাই উসকে দিল। শনিবার ইনস্টা অ্যাকাউন্টে অনির্বাণ ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি মুখ খুললে কারও সমূহ বিপদ। অনেক সত্য সামনে চলে আসবে।
এই পোস্ট দেখে অনেকেরই ধারণা কথাগুলো প্রাক্তন সুস্মিতা দে-র উদ্দেশ্যেই বলেছেন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর মতে, 'এখন কোনও যোগাযোগ-ই নেই। আমি পোস্টটা নিজে দেখেনি তবে শুনেছি। যতক্ষণ না কেউ আমাকে সরাসরি কিছু বলছে ততক্ষণ তো আমার কিছু বলার নেই। তবে যদি আমার উদ্দেশ্যে বলেও থাকে তাহলে কেন বলেছে সেটা তো আমি জানি জানি না।'
কী লেখা এই পোস্টে? ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে অনির্বাণ রায় একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'ভদ্রতার খাতিরে চুপ করে আছি। আমি মুখ খুলতে বাধ্য হলে মুখ লুকানোর জায়গা পাবে তো? আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে যা ভাল মানুষের মুখোশ খুলে দেবে। আর নোংরা চরিত্রটা সবার সামনে চলে আসবে।'
প্রসঙ্গত, সুস্মিতার সঙ্গে অনির্বাণের সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। দুজনের সোশ্যাল মিডিয়াতেই চোখ রাখলে দেখা যেত আদরে মাখা পোস্ট। জন্মদিন হোক বা ভ্যালেন্টাইনস ডে একসঙ্গে উদযাপন করতেন। সেই লাভিডাভি মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন প্রাক্তন প্রেমিকযুগল।
২০২৪-এর প্রেমদিবসে হাতে হাত রেখে এনগেজমেন্ট রিং দেখিয়েছিলেন সুস্মিতা-অনির্বাণ। কিন্তু, বাগদানের কয়েক মাস পরই আলাদা হয় তাঁদের পথ। ইনস্টা হ্যান্ডেলে অনির্বাণ প্রেমে ইতি সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। যদিও পরে সেটি সরিয়ে নেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট। সুস্মিতা অবশ্য বলেছিলেন, তাঁরা ব্যক্তিগত কারনে আলাদা হয়েছেন।