কেন নানচাকু নিয়ে ধ্যান করেন, সে কথা জানালেন সুস্মিতা
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নানচাকু নিয়ে ধ্যান করছেন সুস্মিতা সেন। সম্প্রতি তিনি জানান, এই পদ্ধতিই তাঁকে একটি কঠিন অসুখ থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে সাহায্য করেছে।
বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর একটি কঠিন অসুখের কথা এবং কীভাবে সেই অসুখের পর নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ করে তুলেছিলেন তিনি, সেই কথাও জানিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তায়। ওই ভিডিওতে তাঁকে দেখা গিয়েছে নানচাকু সহযোগে ধ্যান করতে। কঠিন অ্যাডিসনস ডিজিজ ধরা পড়ার পরে এই বিশেষ ধ্যানই তাঁকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি জুগিয়েছে, এমন কথাই বলেছেন তিনি।
Advertisment
মার্শাল আর্ট সম্পর্কে যাঁদের সামান্য কিছু ধারণা রয়েছে, তাঁরা জানেন যে আত্মরক্ষার এই বিশেষ আর্টের ভিত্তি হল একটি দর্শন। মার্শাল আর্টের বিভিন্ন এক্সারসাইজের পাশাপাশি ধ্যানও কিন্তু শিক্ষার একটি অঙ্গ যা শিক্ষার্থীর মনঃসংযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সুস্মিতা সেন নানচাকু নিয়ে শরীরচর্চা যেমন করেন, পাশাপাশি এই বিশেষ সরঞ্জামটি নিয়ে ধ্যানও করেন।
তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওতে জানিয়েছেন যে এই বিশেষ ধ্য়ানই তাঁকে প্রায় চার বছরের একটি অন্ধকার সময়ে নিজেকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করেছে। অ্যাডিসনস ডিজিজ হল একটি অটো ইমিউন ডিজিজ। সুস্মিতার এই রোগটি ধরা পড়ে ২০১৪ সালে। অভিনেত্রী লিখেছেন এই রোগ তাঁকে অন্তর থেকে ভেঙে দিয়েছিল। তাঁর শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ত। খুব আগ্রাসী একটা মনোভাবও কাজ করত। প্রায় ৪ বছর ধরে স্টেরয়েড সাবস্টিটিউট নেওয়ার ফলেই তাঁর শরীরে এমন সাইড এফেক্টস দেখা যায়।
এই সময় থেকেই তিনি নানচাকু নিয়ে ধ্যান করা শুরু করেন। আস্তে আস্তে তাঁর শরীরে ও মনে অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার ইতিবাচক ভাবনা ফিরে আসে। ধ্যানের এই প্রক্রিয়ায় নিয়মিত থাকার ফলে তাঁর শরীরের অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ডগুলি আবার সক্রিয় হয় এবং তার ফলে একটা সময় পরে আর তাঁকে স্টেরয়েড নিতে হয়নি। ২০১৯ থেকে তাই তাঁর শরীরে আর কোনও অটো ইমিউন কন্ডিশন দেখা যায়নি আর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না খাওয়ার ফলে তাঁর শরীরে কোনও প্রতিক্রিয়াও হয়নি।
এই বিশেষ ধরনের ধ্যানের কথা তাঁকে বলেন তাঁর প্রশিক্ষক নুপূর শিখারে। সুস্মিতার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিক সাম্প্রতিক সেই ভিডিওতে প্রশিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন