Suvosmita Mukherjee New Business: শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়, এখন অবশ্য তিনি সকলের কাছে ঐশানি ঘোষ নামেই সকলের কাছে বেশি পরিচিত। সৌজন্যে হরগৌরী পাইস হোটেল। ২০২৫-এর ২৬ জানুয়ারি শেষ হয়েছে এই জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক। ২০২২ থেকে ২০২৫, একটানা তিন বছর দর্শকের ভালবাসায় ঘড়ির কাঁটা ধরে ড্রইং রুমে পৌঁছে যেতেন ঐশানি থুরি, শুভস্মিতা। বাংলা সিরিয়ালের দর্শকের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন। সিরিয়াল শেষ হতেই নতুন জার্নি শুরু করলেন টেলি অভিনেত্রী শুভস্মিতা। এনটি ওয়ান স্টুডিওর সামনেই খুলে ফেললেন নেলআর্ট পার্লার। পরিবার ও কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধব ও হরগৌরী পাইস হোটেলের প্রযোজক নীলাঞ্জনা শর্মাও হাজির ছিলেন নেলআর্ট পার্লারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মা আর দিদাই পার্লারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/ba949fbe-43c.jpg)
আজকের প্রজন্ম যখন শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত, কেরিয়ারের পিছনে ছুটে চলেছে তখন একটু অন্য পথে হাঁটলেন শুভস্মিতা। তিনিও একজন স্বনির্ভর মহিলা। সফল কেরিয়ার গড়তে উদ্যোগী। তার মাঝেই মায়ের জন্য নিলেন বিশেষ উদ্যোগ। সারাদিন মা-কে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। মা যাতে একাকীত্বে না ভোগেন সেই জন্য নেলআর্ট পার্লারটি মাকে উপহার দিলেন অভিনেত্রী শুভস্মিতা। নিজের সঞ্চয়টুকু দিয়েই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপে পা রাখলেন। পার্লার উদ্বোধনের পর কেমন চলছে? মা কতটা খুশি? আর স্টুডিও-র পাশে পার্লার খোলার সুবিধা কী? এই সব কিছু নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন ছোট পর্দার ঐশানি ওরফে শুভস্মিতা।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/3778b2d5-8cb.jpg)
তিনি বলেন, 'আমি ছোট থেকেই মায়ের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু, এখন কাজের চাপে মাকে খুব একটা সময় দিতে পারি না। মায়ের একাকীত্বটা দিনে দিনে আরও বেড়ে যাচ্ছিল। সেটা বুঝতে পেরেই এই নেলআর্ট পার্লারের ভাবনাটা মাথায় আসে। তাছাড়া আমারও নেলআর্ট বিষয়টা খুব ভাল লাগে। একজন কাস্টোমার হিসেবে আমি ঠিক যা যা চাই সেই লুক অ্যান্ড ফিলটা আমার পার্লারে রেখেছি।' অনেকেই অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় মন দিয়েছেন। বিনোদন জগতের অনিশ্চতাই এর নেপথ্য কারণ?
/indian-express-bangla/media/post_attachments/9504c730-8fa.jpg)
প্রশ্নের উত্তর শুভস্মিতা বলেন, 'ব্যবসার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা আরও বেশি। সবজায়গাতেই এই অনিশ্চয়তা থাকে। আমাদের প্রফেশনেও রয়েছে। তবে আমি আমার মায়ের কথা ভেবেই করেছি। নিজের সঞ্চয় দিয়েই পার্লারটা করলাম। মনে হচ্ছে ভাল কোনও একটা কাজে ইনভেসমেন্ট করতে পারলাম। যদি কখনও আমার প্রফেশনে কোনও খারাপ সময় আসে তখন সেকেণ্ড অপশনটা আমার হাতে থাকবে। মা আর আমি দুজনে মিলে তখন সবটা সামলাব।'
মেয়ের তরফে এমন সুন্দর উপহার পেয়ে মায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? আনন্দের সঙ্গে শুভস্মিতা জানান, তাঁর মা অনেকদিন ধরে একটা প্ল্যাটফর্মের সন্ধানে ছিলেন। এটা তাঁর কাছে বিরাট প্রাপ্তি। সকালে ঘুম থেকে উঠে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সেরে পার্লারে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নেন। শুধু শুভস্মিতার মা-ই নন, উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রীর দিদাও। শুভস্মিতা মজা করে বলেন, 'দিদা কোথা থেকে এত এনার্জি পেয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। আমরা সবাই অবাক। নিজেই বলছে আমি এটা দেখে নেব, ওটা করে দেব।' লোকেশন একদম স্টুডিওর পাশে, সহকর্মীরা কী বলছেন? 'ওঁরা তো সবাই খুব খুশি। অনেকে তো বলছে এবার থেকে তোমার ওখানেই যেতে পারব। বাইরে আর কোথাও যেতে হবে না।'