আগামী ১৬ মার্চ বিয়ে। আর তারআগেই আমন্ত্রপত্রে দুঃসাহসিক চনক দিলেন স্বরা ভাস্কর। রগরগে প্রেম-রোম্যান্স ফুলেল ডিজাইনের পরিবর্তে বিয়ের কার্ডে কিনা রাজনৈতিক স্লোগান! দেখে 'থ' নেটপাড়া। এদিকে সাহসী-কন্যের বিয়ের কার্ড নিয়ে বিটাউনের অন্দরেও চর্চার অন্ত নেই।
Advertisment
তারকাদের বিয়ের কার্ড মানেই আভিজাত্য, বৈভবের ছোঁয়া। সঙ্গে বহুমূল্য উপহার। তবে নিজের বিয়ের আমন্ত্রপত্রের ক্ষেত্রে অন্য পথে হাঁটলেন স্বরা ভাস্কর। যে প্রেমের শুরুয়াৎ সভা-মিছিল থেকে, সেই সম্পর্ক যখন ছাদনাতলা অবধি পরিপূর্ণতারল দোরগোড়ায় তখন বিয়ের কার্ডেও বৈপ্লবিক প্রভাব। লেখা ইনকিলাব জিন্দাবাদ। কোথাও বা আবার সংশোধিত নাগরিকত্ব, CAA-র উল্লেখ।
প্রসঙ্গত, এক সভাতে গিয়েই সমাজবার্দী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে স্বরা ভাস্করের দৃষ্টি বিনিময়। সেই বন্ধুত্ব পরে প্রেমে পরিণত হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সেরে সারাজীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা। এবার শেষমেশ মার্চের ১১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বলিপাড়ার অন্যান্য তারকাদের থেকে আমন্ত্রণপত্রের ক্ষেত্রে এক্কেবারে অন্য পথেই হেঁটেছেন স্বরা ভাস্কর।
মোদি সরকারের যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফাহাদের সঙ্গে একই সুরে আওয়াজ তুলেছিলেন, যেমন - NRC, CAA-র মতো সেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলোই ঠাঁই পেল স্বরা ভাস্করের বিয়ের কার্ডে। শুধু তাই নয়, জুটির মেরিন ড্রাইভ স্মৃতি থেকে সিনেমাপ্রেম, তাঁদের পোষ্য সারমেয় ঘালিব.. সবকিছুই রয়েছে বিয়ের কার্ডে। কাগজ আমরা দেখাব না..র মতো একাধিক রাজনৈতিক স্লোগানের মধ্য থেকে উঁকি দিচ্ছে শাহরুখ খানের 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'র পোস্টারও। স্বরা-ফাহাদের বিয়ের কার্ড দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছে নেটপাড়া।
প্রসঙ্গত, এই বিয়ে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। একদিকে যখন সর্বভারতীয় মুসলিম সংগঠনের তরফে আপত্তি এসেছে, তেমনি হিন্দু হয়ে মুসলিম ঘরে বিয়ে করার জন্য স্বরা ভাস্করকে আক্রমণবাণে বিদ্ধ করেছে হিন্দু সংগঠনগুলোও। তবে দম্পতি নির্বিকার। আগামী ১৬ মার্চ দিদার বাসভবনে একেবারে ঘরোয়া আয়োজনেই চার হাত এক হবে স্বরা-ফাহাদের।