Swastika Dutta Bijoyini: 'ভজগোবিন্দ' দিয়ে টেলিভিশনে পথ চলা শুরু করেছিলেন স্বস্তিকা দত্ত। তার আগেই ঝুলিতে বেশ কয়েকটি হিট বাংলা ছবি। তাঁর সেই মেগা ডেবিউয়ের রেশ দর্শকের মনে এখনও লেগে রয়েছে। সেই রেশ রেখেই 'ডালি' থেকে 'কেকা' হয়েছেন স্বস্তিকা। আবার সম্প্রতি সেই নতুন পথচলাও শেষ। আগামী ২৩ অগাস্ট 'বিজয়িনী'-র শেষ এপিসোডের সম্প্রচার। অভিনেত্রী জানালেন, মন খারাপ ঠিকই কিন্তু একই সঙ্গে একটু অবকাশও এল হাতে।
''লাস্ট সাড়ে তিন বছর ধরে আমি মেগা করছি। আমি খুবই কাজপাগল মানুষ। খুব কাজ করতে ভালবাসি। 'ভজগোবিন্দ'-র পরে 'ঠাকুরমার ঝুলি' আর তার পরেই আবার 'বিজয়িনী'... মাঝখানে খুব একটা বেশি সময় পাইনি সেভাবে বিশ্রাম নেওয়ার। এবার একটু নিজের দিকে তাকানোর সময় পাব'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন: ফেল করেছি দেখে চাউমিন খাইয়েছিল বাবা: সৌরভ
মাস চারেক আগে 'বিজয়িনী' ধারাবাহিকের নতুন জুটি হিসেবে পর্দায় আসেন স্বস্তিকা দত্ত ও রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। দুজনেই এর আগে অন্য ধারাবাহিকের জন্য জনপ্রিয় হয়েছেন কিন্তু স্বস্তিকা ও রুদ্রজিৎ জুটি একটা দারুণ কেমিস্ট্রি নিয়ে এসেছিল 'বিজয়িনী'-তে। সেই জুটি এবং কেকা-র পথচলা শেষ। গত ১৩ অগাস্ট শেষ শুটিং হয়েছে ধারাবাহিকের।
''প্রত্যেকটা চরিত্রের সঙ্গেই একটা একাত্মতা তৈরি হয়। ডালি-র সঙ্গেও ছিল আবার কেকার সঙ্গেও ছিল। কিন্তু কেকার মধ্যে আমি যেন আমার গোটা জীবনটাকে বেঁচে নিয়েছি। ২৬ বছর বয়সের একটা মেয়ে থেকে সত্তরোর্ধ্ব একজন মহিলার চরিত্র করেছি-- এটা অভিনেত্রী হিসেবে একটা বড় পাওনা। এবং তার জন্য সুশান্তদাকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ দিতে চাই। শেষ ফেজে এই বয়স্ক মহিলার অভিনয়ের জন্যে খুব পরিশ্রম করেছি। আমার গলা চিরে গিয়েছে। রোজ ১৪ ঘণ্টা ওই গলাতেই কথা বলতে হতো। আমার মনে হয় দর্শকেরও অভিনয়টা ভাল লেগেছে। কারণ এই সপ্তাহে আমাদের টিআরপি বেড়েছে'', বলেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন: পর্দায় ননদ-বৌদি আর বাস্তবে প্রিয় বন্ধু! ভিতর-বাইরের গল্প শোনালেন সৌমি
একটা ধারাবাহিক শেষের অর্থ অভিনেতা বা অভিনেত্রীর একটি জার্নির শেষ এবং আর একটি জার্নি শুরুর সম্ভাবনা। কিন্তু আবার একটি নতুন যাত্রা শুরুর আগে একটু বিরতি চান নায়িকা। সম্প্রতি নতুন বাড়িতে শিফট করেছেন, ঘর সাজানোর কাজও প্রায় শেষ। এবার একটু নিজের জন্য আলাদা করে সময় বার করতে চান তিনি, নিজেকে আর একটু প্যাম্পার করতে চান।
''সিরিয়াল করতে করতে আমি কখনও অন্য কোনও প্রোডাক্ট শুট করিনি, নিজের ফোটোসেশনও করিনি সেভাবে কখনও। এবার প্রথমে সেটাই করব। এই শহরটাকে খুব ভালবাসি। তাই একটা ফোটো-ওয়াকের পরিকল্পনা রয়েছে, শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে। আর ঠিক করেছি যে অন্তত চার মাস আমি ছুটি নেব। তার আগে বড় কিছু করব না', বলেন স্বস্তিকা।