Swastika Mukherjee: অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ভীষণ ঠোঁটকাটা-ভীষণ যুক্তিবাদী। তিনি মনের কথা মনে চেপে রাখতে পারেন না। যেটা মনে হয় তিনি মন খুলে বলে দেন। শুধু তাই নয়, কাওকে নিয়ে রাখঢাক করেন না। এমনকি, ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গেও তিনি একেবারে খুল্লামখুল্লা। অভিনেত্রীকে এবার দেখা গেল নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে কথা বলতে। ছবির প্রিমিয়ার। ছবির প্রিমিয়ার নিয়ে একসময়, টলিপাড়ায় নানা আলোচনা হত। সেখানে একটি ছবির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সকল মানুষরা আসতেন। আর এখন, সবটাই দেখনদারি। ছবির প্রিমিয়ার মানেই এখন নানা তারকাদের উপস্থিতি।
আর স্বস্তিকা নানা কারণে ভীষণ বিরক্ত। সমাজ আমধ্যমে এই নিয়েই তিনি লিখেছেন। তার নতুন ছবি দুর্গাপুর জাংশন নিয়ে লাগাতার প্রোমোশন চালানোর পর যখন প্রিমিয়ারে গেলেন, তখন একরাশ বিরক্তি নিয়েই নানা বিষয় লক্ষ্য করলেন। অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে লিখছেন... "আমি এখন থেকে আর কোনও ছবির প্রিমিয়ার এ যাব না। নিজের ছবির ও না। পরের ছবির ও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের। কারণ অনেক। প্রিমিয়ার এ ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিক মাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনও দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিসার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে, বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে।"
আরও পড়ুন- Salim Merchant on Pahalgam Terror Attack: 'ভীষণ ঘেন্না হচ্ছে..', কাশ্মীর হত্যার পর ইসলামের পাঠ পড়ালেন ভারতীয় সুরকার সেলিম
কিন্তু, তার আসল বিরক্তির কারণ অন্য। অভিনেত্রী ছোট থেকে একরকমের প্রিমিয়ার দেখে অভ্যস্ত। সেই কারণেই তিনি এখনকার প্রিমিয়ার নাইটে তিতিবিরক্ত। শুধু প্রথমসারির তারকাদের সমাগম। ছবির কোনও ক্রিউ মেম্বারকে ডাকা হয় না। স্বস্তিকা আরও লিখছেন..."অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয়না। হয়তো HOD দের সেই সম্মান প্রাপ্তি হয়, তাই বলে সব ডিপার্টমেন্টের এর HOD দের যে ডাকা হয় তাও নয়। যে প্রোডাকশন দাদারা গোটা সিডিউল এ মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এলো, মাঝ রাতে Thumbs Up আনতে ছুটল তাকে প্রিমিয়ার এ নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং এ গেছি। টগরি দেখতে গেছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হত। পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্তিরি করেছে তাকেও। শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছেনা।"
এদিকে, পাপারাজ্জিদের ভিড়ে নাজেহাল অবস্থা সকলেরই। কারণ? অনেক সময় তারকারা অভিযোগ করেন তাদের জীবনে যে সমস্যআর পাহাড় হচ্ছে, কিংবা তাঁদের প্রাইভেসি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তার নেপথ্যেও এই পাপারাজ্জি বিষয়টাই দায়ী। স্বস্তিকা অভিযোগের সুরেই লিখছেন... "সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোন এই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদের কে বাইট দেবো বা তাদের ফোন এ বন্দি হব জানিনা। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাজ্জি । আর কোনও ডেকরাম নেই, কোনও নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন, সবাই গায়ের ওপর উঠে পরে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চ এ কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।"
ভীষণ বিরক্ত তিনি। ছবির প্রিমিয়ারে যে এহেন ঘটনা ঘটবে জেন ভাবাও যায় না। যদিও বা শেষে এটাই জানিয়েছেন, "এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে নাহয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।"