Swastika Mukherjee post: সবসময় চেনা ছন্দের বাইরে গিয়ে কাজ করা স্বস্তিকার নিজস্ব স্বভাবের মধ্যে পড়ে। এবারও, তিনি ব্যতিক্রম না। অভিনেত্রী ফের একবার মহৎ হওয়ার পরিচয় দিলেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ফের একবার সরব।
কী হয়েছে আসলে?
স্বস্তিকা ( Swastika Mukherjee ) সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। কোনও বিষয়েই তিনি কথা বলতে থামেন না। বরং, এবার একজনের হয়ে সাহায্য চেয়েই তিনি হাত জোর করলেন। অজানা একজন মানুষের হয়ে গলা চড়ালেন স্বস্তিকা, আর এটি একমাত্র তাঁকে দিয়েই সম্ভব। স্বস্তিকা, শুধু তাঁর হয়ে আর্জি জানালেন এমনটা নয়। বরং, তিনি তাঁকে সাহায্য করার কথাও বললেন।
সেই ছেলেটি মাত্র ১৯ বছর বয়সে নিজের এবং ছোট বোনের খাতিরে একটি হোটেল চালাচ্ছে ( 19 year old boy running Hotel )। দ্যা সার্টিফায়েড বং পেজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে একটি পোস্ট। এই ছেলেটিকে চিনতে পারছেন ? চিনতে না পারার-ই কথা.. বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খুললে অনেক কিছু ভাইরাল ভিডিও আমরা দেখতে পাই.. ফটোটিতে যে ছেলেটিকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম সাগর কুমার গোচ্ছি.. খুব অল্প বয়সে বাবা, মাকে হারায়, বর্তমানে তার একটি ছোট বোন রয়েছে..
মাএ ১৯ বছর বয়সে ছেলেটি নিজের ও বোনের পড়াশোনার জন্য কলকাতার বুকে একটি ছোট হোটেল চালায়.. সকালবেলা বাজার থেকে শুরু করে রান্নাবান্না , খাবার খেতে দেওয়া সমস্ত কাজ সে নিজে একাই করে। এই ছোট হোটেলটিতে দুপুরবেলা বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া বাঙালি থালি পাওয়া যায়। ছেলেটি নিজের সাধ্যমতো প্রত্যেকটি খাবার সুস্বাদু বানানোর চেষ্টা করে। এই হোটেলে আপনারা ভেজ থালি থেকে শুরু করে ডিমের থালি , বিভিন্ন রকমের মাছের থালি ও চিকেন থালি পাবেন। এখানে থালি শুরু হয় মাএ ৩৫ টাকা থেকে ,মাছের থালি ৫০ টাকা ও চিকেন থালি ১০০ টাকা। ছেলেটি ফর্টিস হাসপাতালের বিপরীতে একটি হোটেল চালায়।
কী বললেন এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকা?
অভিনেত্রী, এই ছেলেটির হয়ে সকলের কাছে আর্জি জানালেন। তিনি পোস্ট শেয়ার করে লিখলেন..আমাদের সবার খিদে পায় - আমরা সবাই বাইরে খাই। ওর দোকানে খাওয়াই যায় কি বলেন ? ওর পাশে দাঁড়াই একটু সবাই। এখানেই শেষ না। স্বস্তিকা বেশ কিছু ফুড ব্লগারকে যোগ করলেন যেন তারা এই ছেলেটির পাশে দাঁড়ান।
বলাই বাহুল্য, তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। বেশ কয়েকজন ফুড ব্লগার এমনও জানিয়েছেন যে তারা পাশে দাঁড়াবেন এই ছেলেটির।