Swastika Mukherjee - Tollywood: একসময়, তারকা মানেই ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের টিকি টুকু ছোঁয়া যেত না। কিন্তু, বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের যুগে, তাঁদের হাতের মুঠোয় পাওয়া নেহতা সহজ ঘটনা। তাই তো, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন হোক কিংবা কর্মের আপডেট, তারকারা তাঁর ভক্তদের উদ্দেশ্যে সবটাই ভাগ করে নেন সমাজ মাধ্যমে। কিন্তু এই যে সহজলভ্যতা, তাতে কি আরও বেশি করে স্ক্যানারের আওতায় পড়ছেন?
কিছুদিন আগেই সইফ আলি খানের যখন ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়, তাঁর বাড়িতে ঢুকেই তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন এক ব্যক্তি, তখন এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল, পাপারাজ্জিদের অনেকেই বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা প্রতি মুহূর্তে কোথায় কে যাচ্ছেন, সেই খবর জানতে পারেন, আর এবার কিভাবে প্রতিনিয়ত তারকারা স্ক্যান হচ্ছেন সেই নিয়েই এক গল্প শেয়ার করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অভিনয়ের প্রয়োজনে করা হেয়ারস্টাইল কীভাবে ভয়ঙ্কর সমস্যার সৃষ্টি করেছিল।
তারকাদের রীতিমতো স্ক্যান হতে হয়। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এমনিতেও ঠোঁটকাটা। তিনি কোনো কথাই রেখে ঢেকে বলেন না। তাই তো, অভিনেত্রীদের বিশেষ করে কোনও স্টাইলের কারণে কী ধরনের কথপোকথনের মুখোমুখি হতে হয়, নিজের জীবনের এক ঘটনা দিয়েই বোঝালেন। স্বস্তিকা সেই সাক্ষাৎকারে বলেন... "মৈনাকের একটা ছবি করছিলাম। সেখানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি সেই ছবির জন্য পুরো চুল কেটে ফেলেছিলাম। মানে ইংরেজিতে যার অর্থ হেড শেভ করেছিলাম।"
আরও পড়ুন - Swastika Mukherjee: 'দোষ তোমারই..', জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে, কেন স্বস্…
যদিও অভিনেত্রী জানান, "মাত্র ৪দিন বাকি ছিল শুটিং শেষ হতে, কিন্তু সেই ছবিটা কোনোদিন রিলিজ করল না। আর আমি ভালবাসা থেকে ওই চরিত্রটার জন্য চুল প্রায় পুরো উড়িয়ে দিয়েছিলাম। একজন অভিনেত্রীর পক্ষে এই কাজ মোটেই সহজ না। কেউ একটা চরিত্রের জন্য এই কাজ করতে রাজি ছিল না, এটা পুরো পাগলামো। কিন্তু, যারা জানত না যে কেন আমার মাথায় চুল নেই, তাঁরা ভেবেছিলেন যে আমি হয়তো নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে ফিরেছি। আমি হয়তো ড্রাগসে আসক্ত ছিলাম। বেশিরভাগ ভেবেছিলেন আমি রিহ্যাব থেকে ফিরেছি। অবাক হয়েছিলাম এটা দেখে যে মানুষের চিন্তাভাবনা! মানে, একজন মহিলা তাঁর চুল শেভ করা মানেই সে কোনও খারাপ নেশায় আসক্ত। সে হয়তো ঠিক নেই। বাস্তবে ঠিক তাই। চুল নেই এমন মহিলা মানেই গন্ডগোল আছে।"
এখানেই শেষ না। তাঁর পরিবারের তরফেও এমন কিছু বার্তা তিনি পেয়েছিলেন, বিশেষ করে তাঁর মা পেয়েছিলেন, যেটা ভয়ঙ্কর। তাঁর মাকে ফোন করে আত্মীয় স্বজনরা এই বলেছিলেন, হয়তো তাঁর জীবন ঠিক নেই। হয়তো বা জীবনে অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সে। কেন মা হয়ে তিনি স্বস্তিকার খেয়াল রাখছেন না? এবং এরপরই মায়ের কাছে রীতিমতো বকাও খেয়েছিলেন তিনি।