/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/swastika.jpg)
রূপঙ্কর বাগচিকে তুলোধনা স্বস্তিকার
কেকে-র সমালোচনা করে ভিডিও পোস্ট করেছিলেনন রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi)। তারপর-ই বিপাকে! সেই ভিডিও নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর নেটদুনিয়ায় তুমুল সমালোচনা। এমনকী, টুইটারেও ট্রেন্ডিং রূপঙ্কর। যাঁদের হয়ে মুখ খুলেছিলেন, সেই ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়ও দাঁড়াননি তাঁর পাশে। বাংলার সঙ্গীতশিল্পীকে প্রায় ধুয়ে দিচ্ছেন কেকে-অনুরাগীরা। এবার সেই প্রেক্ষিতে ভয়ঙ্কর বিতর্কের সুনামি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) কথায়।
স্বস্তিকা বললেন, "রূপঙ্কর বাগচিকে আমার একটা প্রশ্ন। উনি ভাল গান গাইতে পারেন, ওটাই ওঁর পেশা। উনি অভিনয় করার খাতায় নাম লেখালেন কেন? একজন অভিনেতা ওঁর জায়গায় রোলটা পেলে ওঁর থেকে ভাল অভিনয় করবেন, তাঁর পেটে লাথি মারলেন। এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক-প্রযোজকরাও কেন একজন গায়ককে অভিনয় করার জন্য নিচ্ছেন? রূপঙ্করের অভিনয় দেখার জন্য কেউ চ্যানেল সাবক্রাইব করবে? না সিরিয়াল দেখবে না হলের টিকিট কাটবে? ওঁর খুব খারাপ অভিনয়ের জন্য এতদিন হয়তো কেউ খিল্লি করেননি। এবার করবেন।"
<আরও পড়ুন: KK-র মৃত্যুর পরই খুনের হুমকি! তড়িঘড়ি থানায় ছুটলেন রূপঙ্কর>
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী প্রশ্নও তোলেন যে, "ওঁর গান শোনার জন্য হয়তো নিশ্চয় টিকিট কাটবেন। আজকের পর কী করবে, তা জানি না। আমাদের সবার তো স্মৃতিভ্রংশের অভ্যেস রয়েছে। আমরা দুদিন চেঁচাই তারপর সবাই ভুলে যাই। গায়ক-গায়িকা অভিনয় করবেন, কিন্তু অভিনেতারা গান গাইলেই সমস্যা। অভিনেতারা মুখ খুললে সমস্যা, না খুললেও তাই। ভোট খালি আমরা দিই। বাকিদের কোনও দায় নেই।"
অন্য পেশার লোকরা অভিনয়জগতে আসায় বেজায় ক্ষিপ্ত স্বস্তিকা (Swastika Slams Rupankar)। রূপঙ্কেরর প্রসঙ্গ টেনেই বললেন, "আমার একটা প্রশ্ন আছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যখন মানুষকে বিনোদিত করার জন্য গান গাইতে চেষ্টা করেন, সবাই সেটা দারুণ পারেন তা নয়। অভিনেতারা সব পারেন এবং সব করবেন তা তো হয় না। কিন্তু গ্রাম হোক বা শহরতলী, স্টেজে গান-নাচ ছাড়া বেশি কিছু করার নেই। ম্যাজিক তো দেখানো যায় না। তখন আমাদের খোরাক বানানো হয়। ট্রোল করা হয়। অপমান-খিল্লি-মিম কিছুই বাদ যায় না। কিন্তু আমাদের কাজটা এতটাই সহজ যে, অন্য পেশার সবাই এটা করতে চায় এবং করে। ডাক্তাররা তাঁদের কাজের ফাঁকে এসে শুটিং করে যায়। ৪-৫টা নাম তো এক্ষুণি বলে দিতে পারব। ব্যাঙ্কের চাকুরিজীবীরাও মুখ দেখাতে চায় পর্দায়। দেখায়ও। প্রফেসর, শিক্ষক, বিভিন্ন পেশার লোকেরা সবাই নাম লিখিয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা যাঁরা অভিনয় করি তাঁরা কিন্তু ইচ্ছে করলে টুক করে গিয়ে একদিন হাসপাতাল বা ব্যাঙ্কে কাজ করতে পারি না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন