Swastika Mukherjee: আমার সঙ্গে প্রেম করতে হলে অনেক কথা বলতে হবে, মেয়ে তো বলে ডেটে যাও, এত কথা বলার কী আছে: স্বস্তিকা

Durgapur Junction: ২৫ এপ্রিল সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায় অভিনীত 'দুর্গাপুর জংশন'। সাংবাদিক ঊষসী-র চরিত্রে দর্শকের দরবারে নয়া অবতারে নিজেকে মেলে ধরেছেন। নতুন ছবি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন স্বস্তিকা।

Durgapur Junction: ২৫ এপ্রিল সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায় অভিনীত 'দুর্গাপুর জংশন'। সাংবাদিক ঊষসী-র চরিত্রে দর্শকের দরবারে নয়া অবতারে নিজেকে মেলে ধরেছেন। নতুন ছবি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন স্বস্তিকা।

author-image
Kasturi Kundu
আপডেট করা হয়েছে
New Update
বয়সের সঙ্গে শারীরিক গঠনে যে পরিবর্তন আসবে সেগুলো তো স্বাভাবিক, আমি তো ৬০ বছরেও এইরকমই থাকতে চাই: স্বস্তিকা

বয়সের সঙ্গে শারীরিক গঠনে যে পরিবর্তন আসবে সেগুলো তো স্বাভাবিক, আমি তো ৬০ বছরেও এইরকমই থাকতে চাই: স্বস্তিকা

২০২৫-এর নববর্ষটা অন্যবারের তুলনায় একটু আলাদা?

Advertisment

হ্যাঁ, ছবির প্রচারের মধ্যেই দিনটা কেটেছে। মা বলতেন বছরের প্রথম দিনটা যেভাবে কাটে পুরো বছরটা সেভাবেই কাটবে। আর আমিও চাই কাজের মধ্য থাকতে। বাড়ি বসে ল্যাদ খেতে আমার মোটেই ভাল লাগে না। পয়লা বৈশাখের দিন নতুন পোশাক পরার রেওয়াজটা মোটামুটি সব বাঙালি বাড়িতেই আছে। আমিও ওই দিন নতুন শাড়ি পরে নিজের ছবির প্রমোশনে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে বাংলা বছরের প্রথমদিন খুব ভাল কেটেছে। আগামী বছরগুলো এভাবেই কাটাতে চাই। 

দেশ-বিদেশ বিভিন্ন জায়গয়া ঘোরার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুর্গাপুরের সঙ্গে কোনও বিশেষ টান বা স্মৃতি আছে?

না, দুর্গাপুরের সঙ্গে কোনও বিশেষ টান বা স্মৃতি জড়িয়ে নেই। যতবারই গিয়েছি কাজের সূত্রে। এবারেও দুর্গাপুর জংশনের শুটিংয়ের সময় বেশ অনেকগুলো দিন ওই ছিমছাম শহরটায় কাটিয়েছি। খুব বেশি লোকজন-ট্রাফিক জ্যাম নেই, ভিড়-হই হট্টগোল এসব তো একেবারেই নেই। কলকাতার কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে কয়েকটা দিন দিব্যি কেটেছে। দুর্গাপুরের এই দিকগুলো ভাল লাগার একটা বিশেষ কারণ। 

Advertisment

এই সিনেমার গল্পে 'জংশন' শব্দটার ভূমিকাটা ঠিক কীরকম?

এই ছবিতে কাজ করে যেটা আমার উপলব্ধি 'জংশন' শব্দটা এখানে 'রূপক' হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের জীবনটা তো এক একটা জংশন। জীবনে চলার পথে তো আমরা বিভিন্ন স্টেশনে থামি। সেখানে আমাদের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই আলাপটা হয়তো কিছুক্ষণের বা কিছুদিনের। আবার আমরা সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছে যাই। সেখানে আবার নতুন মানুষদের সঙ্গে আলাপ হয়। নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে, ২০১৫ থেকে আমি মুম্বই গিয়ে কাজ করা শুরু করি। সেটা তো একটা একটা অন্য স্টেশন। আবার আমার মেয়ে যেখানে থাকে সেটা একটা অন্য জায়গা। আমরা তো এভাবেই আমাদের জীবনচক্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে থামি। জার্নির পথে আমাদের সঙ্গে যাঁদের আলাপ হয় তাঁদের সকলকে নিয়ে তো আমাদের পুরো পথ চলার সুযোগ হয় না। কিছু মানুষকে ছেড়ে আসতে হয়। এই অনুভূতির একটা দিক 'দুর্গাপুর জংশন'-এ রয়েছে। আর সেই কারণেই সিনেমায় জংশন শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে।

এতদিন জানতাম টাকার জন্য মানুষ কিডনি বিক্রি করে এখন তো দেখিছ শিড়দাঁড়াও বিক্রি করে, সিনেমার পর্দায় বাস্তবের স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি দেখবে দর্শক?

আমরা যে চরিত্রগুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলি সেগুলোর সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কিছু না কিছু মিল কিন্তু থাকেই। সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। দুর্গাপুর জংশনে আমার চরিত্রের নাম ঊষশী। রক্ত মাংসের সেই মানুষটাকে পর্দায় বাস্তবায়িত করতে গিয়ে হয়তো আমার ব্যক্তিগত সত্ত্বার অনেকটাই চরিত্রের জন্য উৎসর্গ করতে পেরেছি। ঊষসীর সঙ্গে নিজের অনেক মিল পাই। ছবিটা আমি যতবারই দেখেছি ততবারই কয়েকটা জায়গায় মনে হয়েছে, এটা যেন পুরোটাই আমি। আবার কোথাও মনে হয়েছে না, এটা তো আমি নই। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মনের জোরের সঙ্গে ঊষসীর মনের জোরের মিল হান্ড্রেড পার্সেন। আমি যেমন নিজের মনের কথা শুনি, ঊষসীও কিন্তু একদম সেটাই। অফিসের বস বা স্বামীর বারণ না শুনেই নিজের ছন্দে চলতে পছন্দ করে। 

মাসে ৩০ দিনের মধ্যে ২০ দিনই সাংবাদিকদের সঙ্গে ওঠাবসা। সাংবাদিকের চরিত্রে কাজ করে এই পেশাকে কতটা এনজয় করলেন?

আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটা Investigative জার্নালিস্ট। আমার তো এই ধরনের সাংবাদিকদের সঙ্গে সেভাবে দেখাসাক্ষাৎ হয় না। কারণ সবটাই এন্টারটেইনমেন্ট জার্নালিস্টদের সঙ্গে পরিচয়। তবে আমার বাবার থেকে Investigative জার্নালিস্টদের অনেক গল্প শুনেছি। সেগুলো আমি এই ছবিতে কাছে লাগানোর চেষ্টা করেছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি কিন্তু, রোজ হোমওয়ার্ক করি। ওটা আমার নিত্যদিনের অভ্যেস। কোনও স্ক্রিপ্ট এলে তখন হোমওয়ার্ক শুরু করব এমনটা নয়। 

নিখোঁজে বৃন্দা চরিত্রকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে অনেকটাই ট্রেনিং নিতে হয়েছিল, ঊষসীর চরিত্রের জন্য নিজের ঝুলিতে থাকা জ্ঞানটুকু নিয়েই ময়দানে নেমেছিলেন?

হ্যাঁ, একদমই তাই। সাংবাদিকতা নিয়ে ছোট থেকে যেটুকু জ্ঞানার্জন করেছি সেটাকে সম্বল করেই ফ্লোরে গিয়েছি। 

ঊষসীকে তো অনেক থ্রেট পেতে হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের সময় থ্রেট কালচর বিষয়টা মারাত্মক প্রকট হয়েছিল। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে কখনও এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে? এটা কোনওভাবে আপনাকে প্রভাবিত করেছে?

হ্যাঁ, আমি বহুবার থ্রেট কালচরের সম্মুখীন হয়েছি। তবে এটা কোনওদিনই আমাকে কোনওভাবে প্রভাবিত করতে পারেনি। তবে যদি কখনও সেটা সীমা অতিক্রম করে যায় তখন তো পুলিশের দ্বারস্থ হতেই হয়। সেইরকম ঘটনা কিন্তু আমার জীবনে ঘটেছে। ২০২০ সালে ইনস্টাগ্রামের মেসেজে এইরকম থ্রেট আমার কাছে এসেছে। সেখানে লেখা হয়েছিল, আমার যৌনাঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দিতে চায়। তখন আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে মজার ব্যাপার হল যারা এই থ্রেটগুলো দেয় তারা কিন্তু কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নয়। হয়ত বর্ধমানে বসে একটা ছেলে পাবলিক ফিগারদের এভাবে মেসেজ করছে। তার বাবা-মা হয়ত সেই বিষয়ে কিছুই জানেন না!! শিবপুর ছবির সময় এইধরনের থ্রেট বেশি এসেছিল। একটা নগ্ন ছবিতে আমার মুখ বসিয়ে অনেক নোংরামি করা হয়েছে। তখন আমিও সরব হয়েছিলাম। কিন্তু, অনেক মেয়েই এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে ভয় পায়। কিন্তু, মনে রাখতে হবে যারা ছবি মর্ফ করছে সেটা তাদের লজ্জা, আমাদের নয়। 

মাঠে নেমে প্রতিবাদ হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায়, অনেকেই খোঁচা মেরে বলে নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে...

সিনেমা করা আমার কাজ। সেটা মুক্তির দিন আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। সেই সময় সমাজে কী ঘটবে সেটা তো আমি বা আমার টিমের কারও পক্ষেই জানা সম্ভব নয়। আমার সিনেমা যখন মুক্তি পাবে তার আগে প্রচার করা একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব। সেটা আমি অবশ্যই পালন করব। যারা দুইয়ে দুইয়ে চার করছে তাঁদের একটা বিষয় আগে নিশ্চিত করতে হবে সমাজে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো যেন না ঘটে। টাইম ম্যানেজ করে আমাকে প্রতিবাদ করতে হবে বা সমাজে কী ঘটছে সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী ছবি রিলিজ করতে হবে এটা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। পহেলগাঁওতে যে মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটল সেটা নিয়ে আমি কথা বলব না? কথা বললেই মানুষ বলবে ছবির প্রচারের স্বার্থে বলছি? আসলে শিল্পীরা কিছু বললেও দোষ, না বললেও দোষ!!

নো-মেকআপ লুক থেকে পাকা চুল সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান। শিল্পী সত্ত্বার বাইরে সাধারণ লাইফস্টাইলই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রের ইউএসপি? 

আমার তো মনে হয় শিল্পীরা সাধারণই হয়। ছোট থেকে যে তাবড় শিল্পীদের সান্নিধ্য পেয়েছি তাঁরা খুভি সাধারণ। আমি তো আমার বাবাকে খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেই দেখেছি। গ্ল্যামার দুনিয়া মানেই চাকচিক্য থাকতে হবে, বৈভব প্রকাশ করতে হবে এটা আমি আমার বাবার মধ্যে দেখেনি। আসলে বাবার মতো সাধারণ মানুষই কোনওদিন দেখেনি। সেই মানুষটার জন্য আমাদের পরিবারের সঙ্গে যে স্বনামধন্য শিল্পীদের যোগাযোগ ছিল সেটা পরম প্রাপ্তি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তরুণ কুমার, সমিত ভঞ্জ, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাদের তো খুবই কাজ থেকে দেখেছি। ওঁরা এত সাধারণ জীবনযাপন করতেন যে দেখে মনেই হত না এক একজন কত বড় 'স্টার'। কোনওদিন দেখেনি ওঁরা দামী গাড়ি চড়ে আমাদের বাড়ি আসছেন, হাইপ্রোফাইল লাইফস্টাইল বা কথাবার্তায় কোনও অহংবোধ। আমি তো ছোট থেকে এই পরিবেশে বড় হয়েছি তাই আমার মধ্যেও সেইরকম কোনও বিষয় নেই। আমার বিশ্বাস, শিল্পীর কাজই তাঁর আসল পরিচয়। দুর্গাপুর জংশনের প্রচারের সময় চুলে কালার করা হয়নি তাই পাকা চুল দেখা যাচ্ছে। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই। সবসময় সাঙ্ঘাতিক মেক-আপ করে ঘুরতে হবে, আমি সেই পন্থায় বিশ্বাসী নই। বাবা বলতেন, প্রকৃত শিল্পীর কাজ জীবনযাপন সাধারণ হবে ভাবনা হবে উচ্চতর। অনেক রবিবার আমাদের বাড়িতে তরুণ কুমার এসে মাকে বলতেন, আজ লুচি-মাংস হবে নাকি? বাড়িতে মাংস না থাকলে মা সঙ্গে সঙ্গে বাজারে গিয়ে নিয়ে আসতেন। ঢিলেঢালা পায়জামা পরা সেই মানুষটা উত্তমকুমারের ভাই তরুণ কুমার, একজন অভিনেতা দেখলে সত্যিই মনে হত না। সারাদিন আমাদের বাড়িতে থাকতেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে গল্প করতেন। বাড়ি ফেরার সময় ট্যাক্সি করে ভবানিপুর ফিরে যেতেন। এতটাই সাধারণ ছিলেন তাঁরা। শিল্পী হলেই আলাদা আড়ম্বর থাকতে হবে এগুলো দেখে বড়-ই হইনি। বাহ্যিক বিষয়গুলো আমার কাছে একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। 

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে দেখলে আজও ছেলে-মেয়ে উভয়ই বলে, 'হটনেস ওভারলোডেড'। এটা শুনলে রাগ হয় নাকি মনে মনে ভাল লাগে?

আমার মনে হয় 'হটনেস'-টা বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অংশ। খোলামেলা জামাকাপড় পরলেই সেই মেয়েটা 'হট' এমনটা কিন্তু নয়। যদি একটা মানুষের মধ্যে সেই হটনেসটা ৬০ শতাংশ থাকে তাহলে জামাকাপড় বা স্টাইল স্টেটমেন্টের মাধ্যমে সেটা ৮০ শতাংশ হতে পারে। ১৫ বছর আগে কোনও হিরোইন যদি সুইমিং স্যুট পরত তাহলে তাঁকে আমরা বোল্ড বলতাম। কোনও চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করলে বলতাম বোল্ড কাজ করেছে। কিন্তু, আমার মনে হয় বর্তমানে বোল্ড শব্দটা একটা মানুষের পার্সোনালিটিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। আমি না একটা জিনিস বুঝি না মানুষ কেন বলে, এই বয়সে এসেও এইরকম দেখতে লাগছে!! তবে একটা প্রশ্ন, কোন বয়স পর্যন্ত মহিলাদের ভাল দেখতে লাগবে বা হট লাগবে সেই বয়সটা কে নির্ধারণ করবে? আমরা তো জন্মাই বুড়ি হওয়ার জন্যই। বয়সের সঙ্গে শারীরিক গঠনে যে পরিবর্তন আসবে সেগুলো তো স্বাভাবিক। তারপরও আমি তো চাই ৬০ বছরেও এইরকমই থাকতে।

এখনও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তোলে। যদি প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয় তাহলে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অনেক কথাই বলেন। তাঁরা তাঁদের মতো করে ভালবাসা জাহির করেন। ব্যক্তিগত জীবনে আমি মনে করি অপরদিকের মানুষটার সঙ্গে কথাবার্তা কেমন হচ্ছে, সেখান থেকে কোনও অনুভূতি জন্মাচ্ছে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার পুরো জীবনে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইডটা কখনও হয়নি। আমার সঙ্গে প্রেম করতে হলে আগে অনেক কথা বলতে হবে। মেয়ে তো এটা নিয়ে আমার সঙ্গে রীতিমতো মজা করে। ও তো আমাকে বলে, মা ছেলেটা এত ভাল প্লিজ ডেটে তো যেতে পারো। এত কথা বলার কী আছে? কিন্তু, আমার কাছে কথাবার্তাটাই মুখ্য। 

হাতে গোনা যে ক’জন শিল্পী ডিপ্লোম্যাসির ধার ধারেন না, তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়...

আমি একেবারেই ডিপ্লোম্যাটিক নই। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে বেঁচে থাকতে পারি না। বাবা-মাকে কোনওদিন সেইভাবে দেখেনি। ছোট থেকে যে পরিবেশে বড় হয়েছি সেটার থেকেই আমার এই পার্সোনালিটিটা এসেছি। জীবনের অর্ধেকটা বাঁচা হয়ে গিয়েছে। নিজেকে আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাছড়া আমি কোনওদিন নিজের ইমেজ বদলাতে চাই না। অনেকের মনে এক মুখে আরেক এক। এইরকম মানুষ অনেক দেখেছি। আমি কোনওদিন সেটা পারব না। আমার মনের কথাই মুখে। 

ইন্ডাস্ট্রিতে এতদিন কাজের পর এখনও কাউকে দেখলে ঈর্ষা হয়?

কোনওদিনই হয়নি। আমি নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ। ইঁদুর দৌঁড়ে কোনওদিন বিশ্বাসী নই। দুর্গাপুর জংশনে যে কাজটা করেছি, পরবর্তী ছবিতে যেন আরও ভাল কাজ করতে পারি। আমার তো মনে হয় নিখোঁজের প্রথমপর্বে যে কাজটা করেছিলাম দ্বিতীয়পর্বে আরও ভাল পারফর্ম করেছি। আজকের আমির সঙ্গে কালকের আমি-টাই আমার কাছে প্রতিযোগীতা।  

একজন সাংবাদিক হিসেবে 'দুর্গাপুর জংশন' নিয়ে কী প্রশ্ন করতে চান?

একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে গিয়ে ঊষসী যে সাহসীকতার সঙ্গে যে স্টোরিটা কভার করছে মনের জোড়টা কোথা থেকে পেলে?

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে এই প্রশ্নটা করলে কী উত্তর দিতেন?

আমি একজন ভাল অভিনেত্রী। আমি সব চরিত্রে অভিনয়ে পারদর্শী। 

Bengali News Bengali Film Bengali Actress Bengali Cinema Swastika Mukherjee