Sweta Bhattacharya Aiburo Bhaat: জানুয়ারিতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। মনের মানুষ রুবেল দাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবেন অভিনেত্রী। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। প্রিওয়েডিং ফটোশ্যুটে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রুবেল-শ্বেতা। চলছে আইবুড়ো ভাত পর্ব। শ্যুটিং ফ্লোর থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে প্রায়ই আইবুড়ো ভাতের নিমন্ত্রণ পাচ্ছেন ছোট পর্দার এই পাওয়ার কাপল।
শ্বেতার অভিনয় ভালবেসে, তাঁকে বোন বলে মান্যতা দিয়ে ভক্তরা সোজা পৌঁছে গেলেন 'কোন গোপনে মন ভেসেছে'-র শ্যুটিং ফ্লোরে। সেখানেই বাহারি পদের খাবারের সমন্বয়ে প্রিয় অভিনেত্রীকে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও শেয়ার করেছেন টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য।
ক্যাপশনের শুরুতেই লেখা আইবুড়োভাত। তারপর ওই ভক্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, 'একজন অচেনা মানুষ শুধুমাত্র আমার কাজ ভালবেসে, আমাকে মন থেকে বোন মেনে সব কিছু আয়োজন করে শ্যুটিং ফ্লোরে এসে আমাকে খাইয়ে গিয়েছেন। থ্যাঙ্ক ইউ দিদি। আপনি খুব ভাল খাকুন আর এভাবেই আশীর্বাদ করুন।' ভালবাসা-শুভেচ্ছায় ভাসছেন শ্বেতা।
সম্প্রতি প্রিওয়েডিং ফটোশ্যুট সেরেছেন রুবেল-শ্বেতা। কখনও শাড়িতে সাবেক সাজ তো কখনও আবার গাউনে অপরূপা শ্বেতা। হবু বউয়ের সঙ্গে টুইনিং-এ মাত দিয়েছেন নিম ফুলের মধু খ্যাত সৃজন ওরফে রুবেল দাস। তাঁদের প্রিওয়েডিং ফটোশ্যুটের ছবি-ভিডিও শেয়ার করতেই লাইক-কমেন্টের বন্যা। ইতিমধ্যেই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপে পা রেখেছেন দুজনে।
পরিজন-বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের আশীর্বাদ ও ভালবাসা নিয়ে নতুন জীবনের প্রথম পদক্ষেপ রুবেলা দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের। চলতি মাসের এক রবিবার আংটি বদল করেছেন ছোট পর্দার এই 'পাওয়ার কাপল'। দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পাবে বিয়েতে। রুবেল-শ্বেতার শুভ পরিণয়ের অপেক্ষায় জুটির অনুগামীরা।
যমুনা ঢাকির সময় থেকেই টিভির পর্দায় রুবেল-শ্বেতার যুগলবন্দি পছন্দ হয়েছিল মেগার দর্শকের। এই ধারাবাহিকের সেটেই কাছাকাছি আসেন দুজনে। ধীরে ধীরে সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হয়েছে। বিয়েতে সাবেক সাজেই নজর কাড়বেন শ্বেতা। রিসেপশনে লেহেঙ্গা পরার ইচ্ছে রয়েছে।
আশীর্বাদের অনুষ্ঠানের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, 'কালকের দিনটা একদম অন্যরকম ছিল। মনের ভিতর আলাদা এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। মনে মনে আমরা অনেকদিনই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী ভেবে নিয়েছি। হাতে একটা চুড়ি পরা রয়েছে। আশীর্বাদের সময় মা পরিয়ে দিয়েছে। এটা আর খুলতে না করেছে। আশীর্বাদও হয়ে গেল। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপর একসঙ্গে থাকা শুরু'।