শ্রীদেবীকে সম্মান জানাতে সুইজারল্যান্ড পর্যটন বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাল্পসে, যেখানে বলিউডের বেশিরভাগ ছবির রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং সেইখানেই তৈরি হবে শ্রীদেবীর মূর্তি। সুইস সরকারের তরফে এক সূত্রের খবর, ''ইন্টারলাকেনে যশ চোপড়ার মূর্তি স্থাপন করেই সুইস সরকার ভারতের সঙ্গে আত্মীয়তাটা আবার লাইমলাইটে এনেছিল। সুইজারল্যান্ডের পর্যটন বাড়াতে শ্রীদেবীর ভূমিকাকে মান্যতা দিয়েই তাঁকে সম্মান জানাতে তৈরি করছে শ্রীদেবীর মূর্তি''।
১৯৬৪ সালে রাজ কাপুর অভিনীত সঙ্গম প্রথম ছবি যা সুইজারল্যান্ডে শুট করা হয়েছিল। তারপরেই এন ইভনিং ইন প্যারিস ছবির শুটিং হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। সঙ্গম থেকে যাত্রা শুরু বলিউড সুইজারল্যান্ডকেই শুটিংয়ের প্রিয় জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে আদিত্য চোপড়ার দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ছবিতে সে দেশের দৃশ্য, যুব সম্প্রদায়ের কাছে সুইজারল্যান্ড প্রীতি বাড়িয়ে তুলেছিল। যা ওই দেশের পর্যটন ব্যবসাকে লাভজনক করেছিল। সুইজারল্যান্ড ট্যুরিজমের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯২য় ২৮,৮৩৪ জন ভারতীয় সুইজারল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিল কিন্তু ২০১৭ য় সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬,৪৫৪।
আরও পড়ুন, প্রয়াত হলিউড অভিনেতা বার্ট রেনল্ডস
শুধু তাই নয়, ইন্টারলাকেন সরকার পুরস্কার হিসাবে যশ চোপড়ারকে 'ইন্টারলাকেন ব্র্যান্ডআম্বাসাডর'-এর সাম্মনিক উপাধিতে ভূষিত করেন। একটি ট্রেনেরও নামকরণ হয় তাঁর নামে। চাঁদনি-ছবির প্রায় সবকটা গানের শুটিংই হয়েছিল সুইজারল্যান্ডে। যার ফলে মধ্যবিত্তেরও ঘুরতে যাওয়ার বাকেটলিস্টে এসেছিল সুইজারল্যান্ডের নাম। সূত্রের খবর, ''ভারতীয় ছবির জন্যই ভারতীয়রা এদেশে এসে সেইসব সুন্দর জায়গা দেখতে চায়। শ্রীদেবী ও শাহরুখ খানের ছবি তাদের উদ্বুদ্ধ করে। অনেকে সেইসব সিনের রেপ্লিকাও সঙ্গে নিয়ে যেতে চায় এবং উত্তেডনার ফলে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটে''।