/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/23/tahsan-2025-09-23-17-49-58.png)
যা বললেন তসলিমা...
বাংলাদশের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং সংগীতশিল্পী তাহসান খান শেষ কিছুদিন ধরে বেশ আলোচনায়। তাঁর কারণ, তিনি সদ্যই একটি মন্তব্য করে বসেছেন। নিজের কনসার্টে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি যেহেতু এক সন্তানের বাবা, তাই এটি লাফিয়ে দাপিয়ে গান গাওয়া, চিৎকার করা তাঁর আর মানায় না। সেই নিয়েই এবার তাঁকে যা যা বললেন তসলিমা নাসরিন...
তসলিমা বাংলাদেশের চর্চিত এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বর্তমানে ভারতের বাসিন্দা। এই দেশের মাটিতে থাকলেও বাংলাদেশের সব খবর রাখেন। তাই, তাহসান যখন এই মন্তব্য করে বসেছেন, ঠিক তখন তসলিমাকে দেখা গেল এই নিয়েও মন্তব্য রাখতে। ঠিক কী বলেছিলেন তাহসান? অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত এক কনসার্টে ভক্তদের চমকে দিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। গতকাল মঞ্চে গান গাইতে গাইতে তিনি হঠাৎ ঘোষণা করেন, “অনেক জায়গায় লেখা হচ্ছে এটা আমার শেষ কনসার্ট। আসলে শেষ কনসার্ট নয়, শেষ ট্যুর। ধীরে ধীরে হয়তো সংগীতজীবনের ইতি টানব। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।”
হাত ছাড়লেন কাছের মানুষ, শোকে পাথর জনপ্রিয় অভিনেত্রী
তাঁকে বলতে শোনা যায়, “সারাজীবন কি মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায়? মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন যদি আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই- ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে', তাহলে কেমন দেখায়?” ভক্তদের কাছে এই ঘোষণা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তাহসান কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বারের মত বিয়ে করেছেন। এবং তাঁর কন্যা, বেশিরভাগ সময় মা মিথিলার সঙ্গেই থাকেন। তাহলে মেয়েকে সামনে রেখে তিনি একথা বলেন কেন? তসলিমা বলছেন...
"দাড়ি রেখে বুঝি স্টেজে গান গাওয়া নিষেধ? মেয়ে বড় হলে বুঝি গান গাওয়া নিষেধ? লাফালাফি করতে ইচ্ছে না হলে, লাফালাফি না করেও গান গাওয়া যায়। আমি তো জানি একমাত্র গান গাইতে না পারলেই স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়। তাহসান তো এখনো গান গাইতে পারেন। তাহসানের দাড়ি কি ইসলামী দাড়ি? ইসলামী দাড়ি হলে না হয় বুঝতাম ইসলামী ব্যবসায়ীদের ফতোয়ায় মনে গান ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।" এখানেই থামলেন না তিনি। বরং, দেশের শিল্প এবং সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা? প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলছেন...
"দেশে যখন গান বাজনা বন্ধ করার জন্য জিহাদি জঙ্গিরা উঠেপড়ে লেগেছে, তিনি তখন গান বাজনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে গান বাজনা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন। তিনি কি মনে করেন যে কণ্ঠশিল্পীরা দাড়ি রাখেন, যাঁদের মেয়ে বড় হয়, তাঁদের গান বাজনা বন্ধ করা উচিত? তাঁদের আর স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়? তাহলে তিনি তো জিহাদিদের মতই কথা বললেন, যে জিহাদিরা বাউল উৎসব বন্ধ করছে, লালন মেলা বন্ধ করছে, স্কুলে গানের শিক্ষক বন্ধ করছে, গান বাজনার মাজার পুড়িয়ে দিচ্ছে! তিনি কি গান বাজনার বিরুদ্ধে ওদের জিহাদ ঘোষণায় সায় দিচ্ছেন? তা না হলে তাঁর কোনও প্রতিবাদ দেখিনি কেন?"