Taslima Nasrin: তসলিমা নাসরিন সবসময় সমাজ মাধ্যমে দারুণ সক্রিয়। যেকোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য রাখেন। নিজেকে তিনি দাবি করেন নাস্তি হিসেবে। অর্থাৎ জন্মসুত্রে তিনি ইসলাম হলেও আসলে এখন কিছুই মানেন না। বরং তাঁকে ঈদ কিংবা কোনও উৎসব পার্বণে শুভেচ্ছা জানালে তিনি রেগে যান। আর মুসলিম নারী কিংবা অভিনেত্রীদের নিয়েও নানা মন্তব্য রাখেন। হিরো আলমের স্ত্রী রিয়ামণিকে নিয়েও তিনি একসময় লিখেছিলেন।
ভারতের বুকেও এই ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মাবলম্বী অনেক নায়িকারাই নিজের ধর্মের কারণে অভিনয় জীবন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কেউ স্বদিচ্ছায় আবার কেউ চাপে পরে। সুপারস্টার আমির খানের ছবিতে জায়রা ওয়াসিম অভিনয় করেছিলেন। পুতুল পুতুল এই অভিনেত্রী, নিজের ধর্মের কারণেই অভিনয় ছেড়ে দেন। এমনকি, সানা খান একসময় এই নায়িকাকে সাহসী হিসেবে বর্ণনা করা হত। তিনিও এখন নিজের পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বোল্ডনেস দূরে সরিয়ে গৃহিণী হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী নিজের ধর্মের কারণেই সরে দাঁড়িয়েছেন অভিনয় থেকে।
সাদিকা পারভিন নাকি জানিয়েছেন সিনেমায় এসে তিনি গালাগালি এবং মানুষের কু-কথা সহ্য করে পাপম কুড়িয়েছেন। তবে এখন আল্লাহর নাম নিয়ে সুন্দরভাবে মরতে চান। আর এই প্রসঙ্গেই তসলিমা সরব হয়েছেন। শিল্পের মাধ্যমে, নাচ গানের মাধ্যমে ঈশ্বরকে তুষ্ট করার গল্প সনাতন হিন্দু ধর্মে আছে। তবে ইসলামে নারীর অভিনয়ে আসাকে ভালভাবে দেখা কেন হয় না এই প্রসঙ্গেই আওয়াজ তুলেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি বাংলাদেশের সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের নানা নায়িকা এবং ভারতের অভিনেত্রীদের প্রসঙ্গেও বলেছেন।
Bollywood: বিবাহিত রাজ কাপুরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, মারধোর করতেন ভাই! …
পড়ুন তসলিমার পোস্টঃ
"সাদিকা পারভিন পপি একা নন, ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী মেয়েদের অনেকে আজকাল বেশিদিন সংস্কৃতির জগতে থাকেন না। তাঁরা নাচ গান অভিনয় মডেলিং করাকে পাপ বলে খ্যাতির শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও সংস্কৃতির জগত ছেড়ে চলে যান, হিজাব বা বোরখায় নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন। মডেল সুজানা জাফর, মডেল অ্যানি খান, মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি, অভিনেত্রী শাবানা, কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, ভারতের অভিনেত্রী সানা খান, জায়রা ওয়াসিম, সাহার আফসার, পাকিস্তানি অভিনেত্রী আনুম ফাইয়াজ, জারনিশ খান এমন অনেকেই নিজেদের প্রতিভার পথ ছেড়ে ইসলামের পথে হেঁটেছেন।"
তিনি আরও বললেন, "ইসলাম একটা কিড়ের মতো, মস্তিস্কের ভেতর একবার কিড়ে ঢুকে গেলে সেই কিড়ে একদিন না একদিন মস্তিস্ককে খেয়ে ফাঁকা করে দেয়। আর সেই ফাঁকা মস্তিস্ক থেকেই ইসলামের পথে চলে যাওয়ার আওয়াজ ওঠে। বাকি জীবন তাঁরা নামাজ -রোজা -ওয়াজ-কোরান-হাদিস-আল্লাহ-রসুল ইত্যাদিতে ডুবে অর্থহীন একটি জীবন যাপন করে।"