এর আগে নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan) বাহবা দিয়ে, জাঁদরেল নারীর আখ্যা দিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন খোদ তসলিমা। কিন্তু সম্প্রতি তাংর সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে পিতার নাম উল্লেখ করাতেই বেজায় মনোক্ষুণ্ণ হয়েছে লেখিকার। তাঁর কথায়, "নুসরতকে যতটা বিপ্লবী ভেবেছিলাম, তিনি ততটা বিপ্লবী নন। আর পাঁচজন সাধারণ রমনীর মতোই কান্ড করে বসলেন।"
আসলে লেখিকা আশা করেছিলেন, অভিনেত্রী তাঁর নিজস্ব পরিচয়েই সন্তানকে বড় করবেন। সিঙ্গল মাদার হিসেবে সমাজে আরও একটা জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠবেন শত শত নারীর কাছে। কিন্তু নুসরত সেই পথে হাঁটেননি। বরং বার্থ সার্টিফিকেটে সন্তানের পিতৃপরিচয় দিয়েছেন। যেখানে স্পষ্ট দেবাশিষ দাশগুপ্ত ওরফে যশের নাম জ্বলজ্বল করছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই নুসরত জাহানকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন তসলিমা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তসলিমার মন্তব্য, কলকাতার অভিনেত্রী নুসরতকে তিনি যতটা না বিপ্লবী তার চেয়ে বেশি ভেবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, নুসরত তাঁর সন্তানকে শুধু নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেবে। কার বীর্য তিনি নিয়েছেন গর্ভবতী হওয়ার জন্য, সেটা মোটেও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হবে না। কিন্তু না, নুসরত আসলে অন্য যে কোনও রমণীর মতোই রমণী। তিনি সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছেন সন্তানের পিতার নাম। তার সর্বক্ষণের সঙ্গীই সন্তানের পিতা।
এরপরই বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে লেখিকার মত, "নিখিলের সঙ্গে ভারতবর্ষে তাঁর বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি। সুতরাং নিখিলকে তাঁর স্বামী না বলার পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু এই যে লুকোচুরি সন্তানের পিতা কে? তা জানানোর তাঁর দরকার ছিল না। আমি অবাক হব না, যদি কোনওদিন প্রকাশ হয় যে গোপনে তিনি যশকে বিয়েও করেছেন। তাহলে যে কোনও ট্র্যাডিশান্যাল মেয়ের চেয়ে নুসরাতের তফাৎটা কোথায়? প্রচুর লেখালেখি, প্রচুর স্বাগত জানানো, শুভেচ্ছা জানানো, স্যালুট জানানো- এসব বরং অতিমানবী সাহসী এবং পুরুষতন্ত্রের ছক ভাঙ্গা মেয়েদের জন্যই তোলা থাকুক। ট্র্যাডিশান্যাল মেয়েদের পেছনে সময় নষ্ট করা, তাঁদের বাহবা দেওয়া আপাতত স্থগিত থাকুক।"