Sontu Dog Death:'মা পাখি' বলেই সবার কাছে এক ডাকে পরিচিত ছিল ওপার বাংলার সন্টু। কোনও সেলিব্রিটির থেকে ওর জনপ্রিয়তা কোনও অংশে কম ছিল না। বদ ময়না,বদ দাদা,বাপু মায়ের সঙ্গে হোদলার দৈনন্দিন জীবনযাপনের মুহূর্ত পশুপ্রেমীরা উপভোগ করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটির ভালবাসায় ভাসত 'তারকা কুকুর' সন্টু। ফেসবুক পেজে ফলোয়ার্স সংখ্যা ৫২৮K। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলে সন্টুকে দেখতে বাড়িত ভিড় জমাত টলিপাড়ার তারকারা।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/ca452984-0d2.jpg)
কিন্তু, ২ মার্চ সব শেষ! না ফেরার দেশে সকলের প্রিয় সন্টু। ওর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কষ্টে বুক ফেটে গেলেও সন্টুর ভক্তদের জন্য পরিবারের তরফে লেখা, 'আমার মা পাখি পৃথিবীর সব আলো নিভিয়ে আকাশের তারা হয়ে গেছে। ২৬শে এপ্রিল ২০১৬ - ০২রা মার্চ ২০২৫ রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ৮ বছরের প্রাণ প্রদীপ নিয়ে এসে আমার প্রাণ পাখি আমার প্রাণ নিয়ে চলে গেছে।'
যারা সন্টুকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেখতেন তাঁদের চোখও কান্নায় ভিজেছে। তবে সন্টুর স্মৃতি বইয়ের পাতায় (সন্টুর কমিক) নথিবদ্ধ করেছেন লেখিকা তনুশ্রী রায়। এর আগে কখনও কোনও পোষ্য বা সারমেয় বইয়ের পাতায় জায়গা পায়নি। অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় সেই 'সন্টুর কমিক' শেয়ার করে লিখেছেন, 'এভাবেই ওরা থেকে যায় আমাদের সঙ্গে....পাতায়,ছবিতে,স্মৃতিতে,আমাদের ভেতর সবটা জুড়ে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/36ad3e58-e19.jpg)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে তথাগত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'যখন পারিয়া তৈরি করেছিলাম তখন সন্টু কলকাতায় ছিল। এই ছবিটি যেহেতু সারমেয়দের নিয়ে তৈরি তাই সিনেমার প্রচারে সন্টুও এসেছিল। সেখানে কোনও বাণিজ্যিক স্বার্থ ছিল না। সেই সময়ই সন্টুর মা আমাকে এই বইটা উপহার দিয়েছিলেন। এই বইতে ওর ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো রয়েছে।'
সন্টুর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তথাগত মুখোপাধ্যায়। তিনি যে পশুপ্রেমী সে কথা আজ আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর বাড়িতেও রয়েছে অনেক পোষ্য। পথ কুকুর বা সারমেয়দের নিয়েও কাজ করেন অভিনেতা-পরিচালক। তাই সন্টু তাঁর কাছে শুধু একটা সারমেয় বা কুকুর ছিল না। প্রিয়জন বিয়োগে একজন মানুষ যতটা ভেঙে পড়ে তথাগতর মনের অবস্থাও ঠিক সেইরকমই।
তাঁর কথায়, 'আমার জীবনেও এইরকম ঘটনা ঘটেছে। ওদের আয়ু তো খুব বেশিদিনের হয় না। একদিন না একদিন তো চলেই যাবে! কিছু করার থাকে না। সন্টু সকলের খুব প্রিয় ছিল। মায়ের সঙ্গে ওর দৈনন্দিন জীবনযাপনের মুহূর্তগুলো এবার থেকে সবাই খুব মিস করবে। পোষ্যর মৃত্যু প্রিয়জন বিয়োগের মতোই।'