বিনোদুনিয়ার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক দিনদিন অন্য মাত্রায় পৌঁছচ্ছে। টেলি দুনিয়া হোক কিংবা টলিউডের বিগস্টার, দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন অনেকেই। বিগত কিছুদিন ধরে বঙ্গভূষণ পুরস্কারের মঞ্চেও রাজনৈতিক রং কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই নিয়েও সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। শুধু সক্রিয় রাজনীতিতে নেই বলেই, দেব-সোহম সম্মান পেলেও বাদ পড়ে যাচ্ছেন বাংলার অন্যতম পছন্দের হিরো জিৎ। রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় গোটা পশ্চিমবাংলা। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে টলিউডের মডেল- অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তবে বেশ কিছু তারকা একেবারেই এই সবকিছুর বাইরে, এবার পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই সরব হলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ( Anindya Chatterjee )।
Advertisment
বহুবছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। টেলি দুনিয়া এবং সিনে দুনিয়ায় একচেটিয়া কাজ করছেন। দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ অনিন্দ্য। তবে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক রং লাগেনি তার নামের সঙ্গে। যেখানে একের পর এক তারকা দলে দলে যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি ব্যতিক্রম কেন? এবার সোজাসুজি সোশ্যাল মিডিয়ায় জবাব দিলেন রাহুল অর্থাৎ অনিন্দ্য। তিনি বলছেন, "আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, যে কেন রাজনৈতিক মঞ্চে আমাকে দেখা যায় না? না বামফ্রন্ট না তৃণমূল না বিজেপি। অনেকেই ভাবে এটা আমার বিলাসিতা। জবাব আসলে অন্য!" কী সেই জবাব?
অনিন্দ্য বললেন, "না রে ভাই! আমি জিমে গিয়ে শুধু শিরদাঁড়ার ব্যায়াম করি। কোচ বারণ করেছে, বেশি লোড না নিতে"। সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে রাজনীতি করতে গিয়ে শিরদাঁড়া একেবারেই বিকবেন না তিনি। তারসঙ্গে আলাদা ধরনের চাপ নিতেও নারাজ অভিনেতা। যথারীতি তার এই পোস্টের পর থেকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন তার অনুরাগীরা। কেউ বলছেন, 'স্যালুট'! আবার কেউ বলছেন, 'কথা দিয়ে জব্দ একেই বলে'। আবার বেশিরভাগই বলছেন, 'আজীবন শিরদাঁড়া সোজা থাকুক'।
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে যেখানে একঝাঁক তারকাকে দেখা গিয়েছিল সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না অনিন্দ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতেও যে রাজনৈতিক রং তাকে গ্রাস করতে পারেনি সেই বিষয়কেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটজনতা।