অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গতকালই লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার সাগ্নিকের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পল্লবীর পরিবারের আগেই অভিযোগ ছিল, তাঁদের মেয়েকে ধোঁকা দিচ্ছিলেন সাগ্নিক। এবার অভিনেত্রীর পরিচারিকার বয়ানে সেই তত্ত্ব জোরদার হল।
পল্লবীর পরিচারিক সেলিমা সর্দারের দাবি, "বউদির অনুপস্থিতিতে তাঁর বন্ধু ঐন্দ্রিলা বার দুয়েক এসেছিলেন গড়ফার ফ্ল্যাটে। দাদার সঙ্গে বউদির বন্ধুর অন্তরঙ্গতা ভাল লাগেনি।" এই ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগে সরব হয়েছেন পল্লবীর বাবা এবং পরিজনরা। এবার পরিচারিকার কথায় সাগ্নিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার তত্ত্ব উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিনেত্রী পল্লবী দে-র লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গড়ফা থানায় কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের সামনে সোমবার রাত থেকে জেরা চলে সাগ্নিকের। তাঁর বিরুদ্ধে, খুন, প্রতারণা, সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন ‘পল্লবী মোটেই সুবিধের মেয়ে ছিল না! ওর সংসার চালাত বড়লোক বাবার ছেলে সাগ্নিক’, বিস্ফোরক প্রাক্তন স্ত্রী
সোমবারই পল্লবী-র বাবা নীলু দে পুলিশে মেয়ের লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জনের নামে গড়ফা থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপরই সাগ্নিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিকের ব্যাঙ্ক লেনদেনে অসঙ্গতি নজরে এসেছে। এছাড়া তাঁর গতিবিধিও বেশ সন্দেহজনক।
এদিকে সাগ্নিক বিবাহিত ছিলেন এবং সেই বিষয়টি পল্লবীর মা জানতেন বলে দাবি সুকন্যার। তিনি সাগ্নিকের প্রাক্তন স্ত্রী। সুকন্যার দাবি, ‘পল্লবীকে ভাল মেয়ে বলা যায় না। যে মেয়ে বিবাহিত জেনেও কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় এবং তাঁর বাড়ির লোকও সেটায় সায় দেয়, তাকে ভাল কী করে বলি? আমি নিজে পল্লবীর মাকে ফোন করে সব জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম সাগ্নিকের সঙ্গে আমার রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা। পাল্টা পল্লবীর মা তখন বলেছিলেন, মেয়ে যা করছে, সেটায় আমরা কিছু বলতে পারব না।’