মৃত্যুর ১৭ ঘণ্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে রিল পোস্ট করেছিলেন পল্লবী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কী এমন ঘটে গেল যে এরকম করুণ পরিণতি হল তরুণ-প্রতিভাবান অভিনেত্রীকে! রবিবার সকাল ৯.৫০ মিনিট নাগাদ গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিলিং থেকে বিছানার চাদরে ঝুলছিল পল্লবীর নিথর দেহ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
Advertisment
বড় তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন সাঁতরাগাছির পল্লবী। গড়ফার ফ্ল্যাটে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে থাকতেন। আচমকা কী হল তাঁর, আজ রবিবারও তাঁর শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে 'মন মানে না' ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন তিনি। তাঁর সহ-অভিনেতা ভরত কল জানিয়েছেন, একদিন আগেও একসঙ্গে তাঁরা শুটিং করেছেন। তখনও হাসি-খুশি ছিলেন পল্লবী। তাঁর ভিতরে কী চলছিল কেউ-ই বুঝতে পারেনি।
অন্য সহকর্মীরাও বলেছেন, যথেষ্ট প্রাণবন্ত মেয়ে ছিলেন পল্লবী। সহকর্মীদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে রিলস বানাতেন। শেষদিনেও শুটিংয়ে হাসিখুশি ছিলেন। পল্লবীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। শুটিং সেটেও কাজের পরিবেশ আর নেই। 'মন মানে না'-র গৌরী আর নেই এটা মানতে পারছেন না কেউ।
সাঁতরাগাছির মেয়ে পল্লবীর ডাকনাম মিষ্টু। দেড় মাস আগে গড়ফায় একটি ফ্ল্যাটে চলে আসেন থাকতে। লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে থাকার কারণেই হাওড়া থেকে গড়ফায় চলে আসা বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। শনিবার রাতে সেই সঙ্গীর সঙ্গে কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার সকালে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন সেই সঙ্গী। তখনই এমন কাণ্ড হয়।
পল্লবীর মৃত্যুর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বলিউড সুপারস্টার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সুশান্তও নিজের ফ্ল্যাটে গলায় বিছানার চাদরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই সুশান্ত এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বছর দুয়েক পর আরও এক তারা পল্লবী অকালে চলে গেল।