কৃষ্ণ ভক্ত তিনি। একদিকে যেমন রয়েছেন টলিপাড়ার সৌমীতৃষা তেমনই অন্যদিকে রয়েছেন আরেক জনপ্রিয় ফুলকি দিব্যানি। তিনি কৃষ্ণের প্রেমে মাতোয়ারা। বাড়িতেই রয়েছেন গোপাল এবং রাধারাণী।
Advertisment
অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি কি ধর্ম নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা সম্ভব। বাড়ির বাইরে বেরোলে চারপাশে নানা ধরনের আমিষ খাবার। নিজেকে আটকে রাখা সম্ভব? তাও আবার এটুকু বয়স থেকে নিরামিষ? যেখানে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের পক্ষে একবেলা নিরামিষ খাওয়া অসম্ভব! কিন্তু দিব্যানী নিজেকে সঠিকভাবে ধরে রেখেছেন।
শহর কলকাতার মেয়ে না সে। কিন্তু তাঁর অভিনয় জীবনের বাইরে সে আদ্যোপান্ত একজন কৃষ্ণভক্ত। তাঁর বাড়িতে ৫জন গোপাল এবং রাধারাণী প্রতিষ্ঠিত। শুধু তাই নয়, তাঁরা নিত্য পূজা পান। তাদের প্রতি এতই ভালবাসা তাঁর যে কলকাতা আসার সময় তিনি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন কাঠের রাধা কৃষ্ণের মূর্তি। এটুকু বয়সে ধর্মের প্রতি এত টান? কেরিয়ারে ইতি ঘটবে না তো?
সৌমীতৃষা একসময় জানিয়েছিলেন কৃষ্ণ তাঁর প্রেম। বৃন্দাবনে তাঁর একটা বাড়ি থাকবে এটাই চান। আর এবার দিব্যানী তাঁর কৃষ্ণ প্রেমের কথা বলতেই হাজার প্রশ্ন উঠছে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি আমিষ খান না, মাছ মাংস থেকে দূরে থাকেন। কৃষ্ণের জপ করেন। অভিনয় জীবনে এভাবে নিজেকে সামলে রাখা খুব মুশকিল। প্রসঙ্গে, দিব্যানী বলেন...
"আমার কৃষ্ণ একদিকে, অভিনয় আরেকদিকে। ধর্ম জীবনের স্পিরিচুয়াল দিক। আর অভিনয় আমার প্যাশন। বরং, কৃষ্ণ নাম জপ করলে কাজে আরও মন দেওয়া যায়। মেডিটেট করা যায়।" ফলেই তাঁর কাজে আরও বিশেষ মনোযোগ থাকে, এমনটাই দাবি করেছেন।
অভিনেত্রীর জন্য শুটিং ফ্লোরেও দারুণ ব্যবস্থা থাকে। যেমন, মাছ মাংসের দৃশ্য হলে, তাঁর জন্য মিষ্টি দিয়ে তৈরি মাছ এবং মাংস। শেষ সম্প্রচারে তাঁকে টপাটপ রসগোল্লা খেতে দেখেও অনেকে বলেছিলেন নায়িকারা ডায়েট ছেড়ে যে এমন মিষ্টি খান, এটাও দারুণ কিন্তু।