হাজার প্রতিকূলতা, মৃত্যুভয়, ঊর্মির জীবনে হাড়হিম করা বিপদ। তাঁর চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ভুলেছিল সকলে, তবে কথায় বলে রাখে হরি তো মারে কে? তবে সবকিছুই আজ অতীত। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে সে। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছে।
Advertisment
ঊর্মির ঘরে ফিরবে তো? এই নিয়ে ত্রস্ত সরকার পরিবার। মেয়ের শারীরিক হাল দিন দিন খারাপ হচ্ছে, চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি কেউই। সাত্যকি যেন অটল পাহাড় হয়ে পাশে থেকেছে উর্মির। এক মিনিটের জন্যও তার থেকে সরে যায়নি। তবে সমস্ত বিপদ আজ কেটে গেছে, উর্মি তাঁর পরিবারের ভালবাসায় আজ সম্পূর্ন সুস্থ। সংসারে ফিরেছে সে। এই 'সংসার' তার নিজের পরিবারও বটে।
সে নিজেও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না, আজ সে সুস্থ। সমস্ত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে এখন শুধুই নিজের সংসারকে জাপটে ধরার পালা। সাত্যকির হাত ধরেই আজ সব বিপদ জয় করে সুস্থ হয়েছে ঊর্মি। বাড়িতে ঢোকার আগেই সে হাত বুলিয়ে নিল, দরজার নেমপ্লেটের ওপর। একবার ছুঁয়ে নিল বাস্তবকে।
জামাই ষষ্ঠীর পরেই ঘটে এই বিপদ। মামনির প্ল্যান করা ফাঁদে পরেই জীবন মরণের মুখোমুখি হয় সে। সাত্যকির বিপদ নিজের করে নেয় ঊর্মি। সংসার - এ ফিরতেই চোখে জল তাঁর, আবারও নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে।