গাঁটছড়ায় জমজমাট মুহূর্ত। দত্তদের বিপরীতে রুখে দাঁড়িয়েছে সিংহ রায় পরিবারের সকলে। ফ্যাশন র্যাম্পে কাঁপিয়ে দিয়েছেন পরিবারের মহিলারা। আর তাঁদেরকে দেখে অবাক উপস্থিত সকলে। এখন নজর একটাই, শ্রেষ্ঠ গয়না ব্যবসায়ীর মুকুট কার মাথায় ওঠে। অর্জুনের চোখ এখন হীরের মুকুট!
Advertisment
সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়। ফলাফল জানতে আর ধৈর্য ধরছে না দত্ত এবং সিংহ রায়দের। চোখে মুখে এক অজানা আতঙ্ক সকলের। ঋদ্ধির হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে খড়ি। এদিকে অজানা এক উচ্ছ্বাস দাদুর মুখে, খড়ি যখন রয়েছে কোনও ভয় নেই তাঁর। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পরেই ভয়ঙ্কর অবস্থা। চোখ কপালে!
এই প্রতিযোগিতায় জিতেছেন সিংহ রায় পরিবার। আর তারপরেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে দত্তদের। এ যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না তাঁরা। এত কিছুর পরেও কোনও লাভ হল না তাঁদের? অসৎ উপায় অবলম্বন করেও যেন কিছুই হল না। সবাইকে তাক লাগিয়ে এগিয়ে গেল সিংহরায়রা। ঋদ্ধির আনন্দ যেন ধরছে না, খড়িকে নিয়ে আত্মহারা সে। সকলের সামনেই জড়িয়ে ধরে খড়িকে। আর এরপরেই নিজের রূপ দেখাতে শুরু করে দত্তরা। স্টেজে উঠে, খড়িকে আক্রমণ করতে শুরু করেন তিনি।
কিন্তু খড়ি নিজেও পিছিয়ে যাওয়ার মেয়ে নয়। এক্কেবারে তীক্ষ্ণ শব্দে তাঁকে জব্দ করে। শুধু তাই নয়। এক্কেবারে প্রমাণ স্বরূপ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে সে। দত্তরাই যে আসল দোষী এইকথাও সকলের সামনে জানালেন পুলিশ। আর তাতেই ক্ষেপে আগুন দত্তমশাই। বললেন, "তোমায় আমি দেখে নেব খড়ি, পথে এনে বসাব তোমায়"। কিন্তু ফাঁকা আওয়াজে কাবু হওয়ার মেয়ে সে নয়। সাফ জবাবে বলে দিলেন, "ভুল সে করেনি! তাই ভয় পাওয়ার কারণও নেই"।
বেশ কিছুদিন ধরেই দত্তদের অত্যাচারে নাজেহাল ঋদ্ধি-খড়ি। কিন্তু যার শেষ ভাল তাঁর সব ভাল। অবশেষে দত্তদের পরাস্ত করেছে খড়ির পরিবার। এখন শুধুই আনন্দের সময়।