অক্ষয় কুমারের সিনেমার সেই বিখ্যাত গানটা মনে পড়ছে, সকলের মুখে এখন একমাত্র সেই বুলি - চারিদিকে টাকার পাহাড়, দর্শকরা বলছেন অবাক করা কান্ড। ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ খুলতে বাকি থাকছেন না কেউই। গতকাল থেকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের (Bengal SSC Scam) ৫০০ দিন লাগাতার আন্দোলনের ফলস্বরূপ মুখ খুলেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, জিতু কামাল অনেকেই। এবার অসাধারণ আর সাধারণের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করলেন ইউটিউবার ঝিলাম গুপ্তা।
সকাল হতেই পার্থ অর্পিতা ইস্যুতে একটি অ-রাজনৈতিক ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। যাতে সহজেই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সাধারণ অসাধারণের বিভেদ। তার কথায়, সাধারণ মানুষের বাড়িতে গৃহপ্রবেশ হলে আত্মীয় স্বজন আসে, খায় দায়। আর অসাধারণ মানুষের বাড়িতে ঝিকিমিকি টুম্পা ব্যাপার, তাদের বাড়িতে কিংবা ফ্ল্যাটে বন্ধুরা আসে না। কারণ তাদের বন্ধু নেই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে আর এরা একসঙ্গেই থাকে। এদের বাড়িতে সরকারি লোকে আসে। এরা নিজে থেকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। কোনও সন্দেহ নেই যে ইডি দপ্তরের তালা ভেঙে ঢোকার বিষয়টিকে নির্দেশ করেছেন ঝিলাম।
আরও পড়ুন < ‘ইচ্ছে করছে নিজের দল গড়তে’, তৃণমূল থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন কবীর সুমন? >
<আরও পড়ুন: পার্থর শখের দামি কুকুররা অনাদরে বন্দি অর্পিতার ফ্ল্যাটে! মেজাজ হারালেন শ্রীলেখা>
সাধারণ মানুষের বাড়িতে আরও অনেক কিছু থাকে। অসাধারণ লোকের বাড়িতে শুধুই টাকা থাকে। আলমারি তো বটেই বাকি সবজায়গায় টাকা থাকে। বাদ পড়ে না বাথরুমও। বিঁধলেন নানা বিষয়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুইল চেয়ারে ঘোরার প্রসঙ্গেও ঝিলাম বলেন, "অসাধারণ লোকেরা গাড়ি ঘোড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যে হুইল চেয়ারেও ঘোরে"। প্রাণপাত করে খাটে একজন মানুষ। সাধারণ আপামর মানুষদের খাটুনি, কষ্ট, পরিশ্রম সবকিছুর পরেও অনেকেই সফলতা পান না। কেউ কেউ ভীষণ শারীরিক ভাবে ভোগেন। আর অসাধারণ মানুষদের কাজকর্ম নেই, সারাদিন শুধু ভোগ চলে। এতোই ভোগের চোট যে মাঝেমধ্যে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।
কোটি কোটি টাকা, চারিদিকে। লোকানো টাকা খুঁজে বের করছে ইডি। ঝিলামের বক্তব্য, "আমরা সাধারণ! টাকা আমরাও লুকাই, কিন্তু চালের টিনে। পকেটে গুঁজে রাখি। এত আহামরি কিছুই নেই আমাদের জীবনে। অল্পে খুশি হন, টাকা পয়সা বেশি নিয়ে সবকিছু শেষ নয় বরং বাঁচতে পারা সবথেকে বেশি দরকারি"।