'কুসুম', 'কিউ কি সাঁস ভি কভি বহু থি' 'বেপনহা প্যায়ার হ্যায়'-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করেছেন একসময়ে। আর সেই অভিনেত্রীকেই কিনা পেটের দায়ে গায়ের গয়না খুলে বিক্রি করতে হয়েছে! শুধু তাই নয়, সংসারের খরচ চালাতে এখন কল সেন্টারের কাজে খদ্দেরদের খিস্তি-খেউড় অবধি শুনতে হয়। দু' দশক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরও এমন পরিণতি জনপ্রিয় অভিনেত্রীর।
তিনি একতা শর্মা। সোনি, স্টার প্লাস থেকে কালার্স, জি-এর মতো বহু চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিয়ালে তাঁকে দেখা গিয়েছে। কখনও সাদামাটা গৃহবধূর চরিত্রে আবার কখনও বা খল ভূমিকায়। দর্শকদের অন্দরমহলে একসময়কার বেজায় পরিচিত মুখ একতা। আর সেই নায়িকার ভাগ্যই কিনা বদলে দিল করোনা।
এমনিতেই বছর তিনেক ধরে তেমন কাজ পাচ্ছিলেন না একতা শর্মা। তবে অতিমারীর দাপটে অভিনেত্রীর পরিস্থিতি আরও করুণ হয়। যাও বা দু-একটা কাজ হাতে ছিল, তবুও শুটিং বন্ধ থাকায় সব বাতিল হয়। ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখেন একতা। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি। শেষমেশ পেটের খিদের কাছে হার মেনে যায় ইচ্ছে।
<আরও পড়ুন: ‘যতদিন ডাল-ভাত জুটবে, ততদিন ওঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ’, রাজু শ্রীবাস্তবের স্মৃতিচারণায় মীর>
অভিনয় থেকে দূরে সরে তিনি এখন সকাল, সন্ধে কল সেন্টারে কাজ করেন। প্রথমটায় ভেবেছিলেন গয়না বিক্রি করে যা টাকা এসেছে, তা দিয়ে চালাতে চালাতেই একটা কিছু হিল্লে হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হল কোথায়? বাইরে গিয়ে কাজ করার জন্য আলাদা মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। আগে ডায়েট মেনে খাবার খেতেন। সবসময়ে কেউ না কেউ থাকতেন সাহায্য করার জন্য। এখন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের সবটাই অতীত। ক্ষিপ্ত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। সহ্য করতে হয় মেজাজও। কিন্তু মনোবল হারাননি 'কুসুম' অভিনেত্রী একতা শর্মা।
একতার কথায়, "আমি একজন শিক্ষিত মহিলা। রোজগারের জন্য বাড়িতে বসে কান্নাকাটি না করে বাইর বেড়িয়ে রোজগার করাই শ্রেয় মনে হয়েছে। আমি সম্মানজনক কাজ করি। আর সেই জন্য আমি গর্বিত।"