অভিনয়ের যথার্থতা আসলে কোথায়? পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করা খুবই সহজ একথা আগেও অনেকে বলেছেন। কমেডি কিংবা নেগেটিভ চরিত্রই মানুষের কাছে খুব শিগগিরি পৌঁছে যায়। অভিনেত্রী রিতা দত্ত চক্রবর্তী শিমুলের শাশুড়ির চরিত্র পেয়ে যেন বেজায় খুশি।
লোকে যা নয় তাই বলছেন। শুধু তাই নয়, ছেলে এবং মায়ের সম্পর্ক নিয়েই কাঁদা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি। এই নিয়েও আওয়াজ তুলেছিলেন মানালি নিজেও। মায়ের শরীর খারাপ, তাঁর সঙ্গে ফুলসজ্জার খাটে পাশাপাশি মা ছেলে, এই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় তির্যক মন্তব্যের শিকার হন রিতা দত্ত। কিন্তু, এহেন মন্তব্য শুনে নিজের ওপর রাগ হয় নাকি হয় না? দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে দাঁড়িয়েই খোলসা করলেন সেকথা।
আরও পড়ুন - সুইমিং পুলে প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ঝিনুক! থাইল্যান্ডে ‘রসে-বশে’ শ্রাবন্তীর ছেলে
চরিত্রের যথার্থতা বোধহয় এতেই। ঠিক কেমন? একটি চরিত্র যে খাতে বইবে, এবং যাওয়ার কথা সেটি মানুষকে সেদিকে ভাবতে এবং টানতে শুরু করলেই যেন অভিনেতার জয় সেই চরিত্রের জয়। প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে। রিতা জানালেন...
"একসময় যখন থিয়েটারের মঞ্চে যেতাম তখন শুনেছিলাম, দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকে নীলকর সাহেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি। এবার, সেই নাটক দেখতে গেলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়। অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই অকথ্য অত্যাচার দেখেই তিনি আর সামলাতে পারলেন না। তাঁর চটি ছুঁড়ে মেরেছিলেন। এরপর, যখন পর্দা উঠে গেল সব অভিনেতারা দাঁড়িয়ে স্টেজের ওপর, তখন দেখা গেল অর্ধেন্দুশেখর সেই চটি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। উনি বলেছিলেন, এই চরিত্রের জন্য আমার এটাই সার্থকতা।"
সাফ জানিয়ে দিলেন, অভিনেতারা তাঁদের চরিত্রের সমৃদ্ধির জন্য মানুষের কটু কথা কিংবা নানা মন্তব্য বরদাস্ত করে নিতে পারেন। যদি, একটা নেগেটিভ চরিত্র দেখে রাগ না হয় তবে কিসের অভিনয়? যদিও, শিমুলের শাশুড়ি হিসেবে তাঁকে নিয়ে তুমূল আলোচনা। প্রকাশ্যে মারামারির ধমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন দর্শকরা। কিন্তু, অভিনেত্রী নিজের কাজে একবিন্দুও কার্পণ্য না করেই এগিয়ে চলেছেন।