Shruti Das : বাংলা ধারাবাহিকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। এখন অবশ্য নিজের প্রতিভাকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখননি। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের আপকামিং মুভি আমার বসের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটবে শ্রুতির। ত্রিনয়নী ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি। ধীরে ধীরে স্বপ্ন পূরণের প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুবই সক্রিয়। জীবনের ভালো-মন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, আজ তাঁর মনস্কামনা পূরনের দিন। নতুন কোনও প্রজেক্টে কাজ শুরুর খুশি ভাগ করলেন? না, বিষয়টা একেবারে ব্যক্তিগত। বলা ভাল পারিবারিক।
শ্রুতি যে ঠাকুরভক্ত তা তাঁর সমাজমাধ্যমের পেজে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। বাড়ির কালী পুজোর প্রতিটি মুহূ্র্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন শ্রুতি। এছাড়াও ঘরের ঠাকুরের ছবি প্রায়ই আপলোড করেন। সোমবার তাঁর যে মনস্কামনা পূরন হয়েছে তা এই ঠাকুর সংক্রান্তই।
শ্রুতি তাঁর কাকিমণির বাড়ির গাছের ফুল দিয়ে ঠাকুরকে প্রাণভরে সাজিয়েছেন। মনের এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরে পরম তৃপ্তি পেয়েছেন শ্রুতি। মনের সেই শান্তির বর্হিপ্রকাশই হল ফেসবুকের এই পোস্ট। শ্রুতি লিখেছেন, 'আজ মনষ্কামনা পূরনের দিন। আজ আমার কাকিমণির বাড়ির গাছের ফুলে ঠাকুরকে মন ভরে সাজিয়েছি।'
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই পথে নেমেছেন শ্রুতি। যেখানেই গিয়েছেন জাস্টিসের ব্যাচ পরে গিয়েছেন। মুভি ডেট হোক বা কালী পুজো, সর্বত্রই নজর কেড়েছে উই ওয়ান্ট জাস্টিসের সে কালো ব্যাচ। কাকিমণির বাড়ির গাছের ফুলে ঠাকুরকে সাজিয়েও দোষীদের শাস্তি কামনা করেছেন।
পোস্টে লিখেছেন, 'সবাই ভাল থাকুক। সুস্থ থাকুক। কাজে থাকুক। সর্বোপরি দোষীরা শাস্তি পাক। এই কামনা করি'। উল্লেখ্য, শ্রুতির মতো গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে বিচারের দিকে। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হল আরজি কর কাণ্ডের ট্রায়াল। শ্রুতি সহ সকলের মনস্কামনা পূরণ হয় কিনা সেটা তো সময় বলবে।
আরও পড়ুন: টিশার্টের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তিতিক্ষার শাঁখা-পলা, সিরিয়ালের ভাল TRP-র মাঝেই চুপিসারে বিয়ে?