'বাড়িওয়ালি' ছবিতে রান্নার কাজ করতেন, সেই থকেই হাতেখড়ি। বাক-বিতণ্ডার সূত্রপাত এর থেকে হলেও তাঁর জল গড়িয়েছে বহুদূর। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে রান্নার লোক বলেই সম্বোধন করেন জনৈক ব্যক্তি। যদিও পাল্টা উত্তর সুদীপ্তা দিয়েছিলেন ভালমতোই। তবে অনুরাগীদের ভালবাসা এবং সাংঘাতিক সব মন্তব্যে রীতিমতো অবাক অভিনেত্রী।
Advertisment
অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে লাগাতার সেই ব্যক্তিকে মন্তব্যে এবং বক্তব্যে বিদ্ধ করেন সকলে। এই বিষয় নজর এড়ায় নি সুদীপ্তার। ক্রমাগত আক্রমণে সেই ব্যাক্তির কতটা অসুবিধা হতে পারে সেই নিয়েও ভাবছেন তিনি। গত দুদিন তাঁর উত্তরে তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটপাড়া। বিশেষ করে রান্নাকে সম্মান জানিয়ে যে কথা সুদীপ্তা বলেছেন, তাতেই ধন্য ধন্য করছেন সকলে।
তবে, সবকিছুর একটা শেষ হওয়া দরকার। ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। যাতে ভাবনার রেশ স্পষ্ট। জনৈক সেই ব্যাক্তির পাশে এবার তিনিই দাঁড়ালেন। বললেন, আমার স্থির বিশ্বাস ভদ্রলোক এত কিছু না ভেবে একটা চটুল ইয়ার্কি মেরে কমেন্টটি করেছিলেন। সবাই একসঙ্গে তাঁর উপর চড়াও হওয়ার পর তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। আবার বলছি, এবার ওঁকে ছেড়ে দিন। সবার অতি উৎসাহ অন্য কোন বিপদ ডেকে আনতে পারে। ছবি দেখে মনে হয়েছে ওঁর বয়স হয়েছে। নিজের নির্বুদ্ধিতার ফল উনি কাল রাত থেকে আজ বিকেল অবধি সময়ে যথেষ্ট পেয়েছেন। এবার ওঁকে ছেড়ে দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার আক্রমণে একজন মানুষের ওপর দিয়ে ঠিক কী বয়ে যেতে পারে, সেই সম্পর্কে একেবারেই অবগত সুদীপ্তা। নিজের অপমান ভুলে গিয়েই গলা চড়ালেন সেই ব্যাক্তির হয়ে। সঙ্গে এও জানালেন, রান্না যে কঠিন কাজ এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমার একটা মন্তব্যে যে এমন কিছু হতে পারে সত্যিই ভাবা দায়। ধন্যবাদ সকলকে।
প্রসঙ্গত, রান্নাঘরের গপ্পো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা নিয়েই বচসার শুরু। বাড়িওয়ালি ছবিতে রান্নার কাজ নয়, এক নির্দিষ্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুদীপ্তা-এই কথাও জানিয়েছিলেন। এমনকি সেই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার অবধি পেয়েছিলেন তিনি।