/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/18/2024-12-18t155945930z-whatsapp-image-2024-12-15-at-102343-am.jpeg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/16/D7Hx109LhuoABnpNJ5zZ.jpeg)
মনে মনে আমরা অনেকদিনই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী ভেবে নিয়েছি: শ্বেতা ভট্টাচার্য
Sweta-Rubel: স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপে পা। পরিজন-বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের আশীর্বাদ ও ভালবাসা নিয়ে নতুন জীবনের প্রথম পদক্ষেপ রুবেলা দাস ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের। রবিবার আংটি বদল করলেন ছোট পর্দার এই 'পাওয়ার কাপল'। দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পাবে বিয়েতে। রুবেল-শ্বেতার শুভ পরিণয়ের অপেক্ষায় জুটির অনুগামীরা। যমুনা ঢাকির সময় থেকেই টিভির পর্দায় রুবেল-শ্বেতার যুগলবন্দি পছন্দ হয়েছিল মেগার দর্শকের। এই ধারাবাহিকের সেটেই কাছাকাছি আসেন দুজনে। ধীরে ধীরে সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হয়েছে।
বিপদে-আপদে একে অপরের পাশাপাশি থেকেছেন রুবেল-শ্বেতা। বারবার সেই নজির উঠে এসেছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। রুবেলের পায়ে দুর্ঘটনা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকার সময় সর্বক্ষণ পাশে ছিলেন শ্বেতা। একে অপরের জন্মদিন পরিবারের সঙ্গে সেলিব্রেট করেন টেলিপাড়ার লাভবার্ডস। ২০২৫-এর জানুয়ারিতেই সাত পাকের বন্ধনে বাঁধা পড়বেন প্রেমিকযুগল। তবে বিয়ের তরিখ এখনই প্রকাশ্যে আনতে চান না তাঁরা। সমাজমাধ্যমের পেজে আশীর্বাদের ছবি-ভিডিও শেয়ার করেছেন শ্বেতা।
চরিত্রের প্রয়োজনে বহুবার বধূর সাজে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। অন্যদিকে বরবেশে টেলিভিশনের পর্দায় বরবেশে হাজির হয়েছেন রুবেল। এবার বাস্তবে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বৈবাহিক জীবন শুরু করবেন রুবেল-শ্বেতা। বাগদানের পর নতুন ভোরের কেমন অনুভূতি শ্বেতার? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, 'কালকের দিনটা একদম অন্যরকম ছিল। মনের ভিতর আলাদা এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। মনে মনে আমরা অনেকদিনই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী ভেবে নিয়েছি। হাতে একটা চুড়ি পরা রয়েছে। আশীর্বাদের সময় মা পরিয়ে দিয়েছে। এটা আর খুলতে না করেছে। আশীর্বাদও হয়ে গেল। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপর একসঙ্গে থাকা শুরু'।
শ্বেতার সংযোজন, 'আমরা কখনও বিয়ের আগে একসঙ্গে থাকি নি। তাই আমার কাছে এটা স্পেশ্যাল ব্যাপার যে বিয়ের পর এবার আমরা একসঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকব। দিন তো ক্রমশ এগিয়ে আসছে। একটা আলাদা অনুভূতিও হচ্ছে। কাল দিনটা খুব ভাল কেটেছে। আজ আমাদের দুজনের জীবনেই একটা নতুন ভোর। সকাল থেকে ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে। তবে মন থেকে আমরা বিশ্বাস করতাম আমি ওঁর স্ত্রী হব আর ও আমার হাজব্যান্ড। সেটা হতে আরও কয়েকটা দিন বাকি। এখন শুধু মনে হচ্ছে একটা একটা করে ধাপ এগচ্ছে। এবার আমরা আমাদের স্বপ্নপূরণ করব, একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গে পথ চলব।'
বিয়ের প্রস্তুতি, মেনু নিয়ে শ্বেতা বলেন, শপিং মোটামুটি শেষ। বিয়ের জন্য কয়েকটা দিন ছুটি প্রয়োজন। তাই দুজনেরই এখন শ্যুটিং সেটে চরম ব্যস্ততা। বিয়েতে সাবেক সাজেই নজর কাড়বেন শ্বেতা। রিসেপশনে লেহেঙ্গা পরার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু, মেনুর কথা জানতে চাইলে শ্বেতার মিষ্টি যুক্তি, 'না না ওটা এখন বলা যাবে না। যাঁরা আমাদের বিয়েতে নিমন্ত্রিত থাকবে না, তাঁদের নজরে তো পেট খারাপ হবে (হাসি)।'
হানিমুনের এখনই কোনও প্ল্যান নেই রুবেল-শ্বেতার। বিয়ের পর ঘরে-বাইরে কী করে সামলাবেন শ্বেতা? অভিনেত্রীর জবাব, 'আজকের দিনে একজনের ইনকামে সংসার চালানো কষ্টকর। দুজনের ইনকাম করাটা খুব জরুরি। আর আমার প্রফেশনের (পেশা) কথা তো শ্বশুরবাড়ির সকলেই জানে। তাই আমি আশা করছি সবার সাপোর্ট পাব।'