বিপদ কেটে গিয়ে এখন অনেকটা সুস্থ ঊর্মি। সাত্যকির সঙ্গে কলকাতা ভ্রমণ করার পর বেজায় উৎফুল্ল সে। এখন একেবারেই প্রেমের মুহূর্তে বাঁচতে চায় সে, তবে এর মাঝেও যেন মনে একেবারেই স্বস্তি নেই। নিজের অপরাধীকে খুঁজতেই দিনরাত এক করছে ঊর্মি।
Advertisment
বাড়ি ফিরলেও মনের ভেতর এক অস্থির দোলাচল। তার এই ক্ষতির পেছনে কী তবে মামনি দায়ী? সে কি তবে জেনে গেল, মামনির প্ল্যানের কথা। সাত্যকির হাজার বারণ সত্বেও সে রক্ষিত ইন্ডাস্ট্রিজের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়ে যায়। এবং তার আসল কারণ একেবারেই দাদু নয়! বরং গায়ত্রীর মুখোমুখি হতে চায় সে। আর বেশিদিন গায়ত্রীর কোনওরকম ভুল কাজকে সে বরদাস্ত করতে নারাজ! সেখানে পৌঁছতেই পরিবারের সকলের মুখোমুখি হয় সে। এবং তারপরেই নিজের ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে ঊর্মি।
সুস্থ ঊর্মিকে সামনে পেতেই তাকে সকলে জড়িয়ে ধরে। সেই দলে ছিলেন মামনি নিজেও। তার মিথ্যে চিন্তাকে এবার শব্দবানে বিঁধল ঊর্মি। মামনিকে উদ্দেশ্য করেই সে বলে, একমাত্র মামনিই জানে আমি কতটা ভাল আছি। এদিকে তার এই কথা শুনেই সবার চোখ কপালে। কী বলছে ঊর্মি? গায়ত্রী অর্থাৎ মামনি কী করে জানবে তার কথা!
ঊর্মির এই অকপট কথার জেরে নতুন কোনদিকে মোড় নিতে চলেছে তাদের গল্প? আদৌ কী মামনিকে দোষী প্রমাণ করতে পারবে সে! এখন সকলের একটাই অপেক্ষা, গায়েত্রীর মুখোশ যেন খুলে যাক! তাহলেই স্বস্তি।