বোধিসত্ত্বর বুদ্ধিতে বেহাল স্কুল থেকে বাড়ির সকলে। তার সুন্দর চাটুকে কথা আর বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে বড় বড় মানুষের মাথা ঘুরে যাওয়ার লক্ষণ। তার কান্ড কারখানা দেখে চক্ষু ছানাবড়া সকলের।
Advertisment
বোধিসত্ত্ব কে চেনেন তো? চোখে গোল গোল চশমা, মুখে উজ্জ্বল হাসি আর বুদ্ধি-বিচক্ষণতার সাক্ষাৎ উদাহরণ সে। খুদে বোধির সরল জবাবে সকলকেই ঘায়েল করতে পারে। তার সামনে পাল্লা দেওয়ার কেউ নেই। তাই তো ছোট্ট বোধির বোধবুদ্ধিকে সবাই কুর্নিশ জানায়। তার স্কুলের শিক্ষকও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এদিকে বোধিসত্ত্বর অগাধ জ্ঞান ও ফিকে পড়ে যায় মাঝে মধ্যে। কোন জিনিসে সবথেকে সে বেশি ভয় পায় জানেন? সে আর কেউ নয় বরং আরশোলা! তাই তো তাকে দেখে বোধিসত্ত্ব দে দৌড়।
স্কুলে আরশোলার বিজ্ঞান সম্মত নাম বলেই খান্ত থাকেনি সে। বরং তার ন্যায় গুণ বিচার করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। খাতার ওপর এক আরশোলা দেখেই চিল চিৎকার। মুহুর্তের মধ্যে সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে বেঞ্চের ওপর লাফালাফি শুরু করে সে। আর তার এই কান্ড কারখানা দেখে হেসে লুটোপুটি খেল তার বন্ধুরা। গোটা ক্লাসরুমে আরশোলার ভয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে সে।
এদিকে বোধিসত্ত্বর জ্ঞানের চোটে তার পরিবারের অবস্থাও দেখার মত। ধুতি পাঞ্জাবী পরে সে তৈরি ঘুরতে যাবে বলে। তার দাবি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে তার দাদু সকলেই ধুতি পড়েন তাহলে সে কেন পড়বে না? বাঙালির আদর্শ নিয়েও তার জ্ঞান কম নয়। কথা আর বুদ্ধি দিয়েই সবকিছু জয় করতে পারে সে। ছোট্ট বোধির কান্ড কারখানা দেখতে তৈরি হন সকলে!