Sudipta Chakraborty on Thakurpukur Incident: ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে সাংঘাতিক সব অভিযোগ আসছে। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে গ্রেফতার করা হয়েছে পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসকে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে বাজারে ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর ধাক্কা দেন পথচারীদের। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে একজনের। চারজন অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁদেরকে হাসপাতালে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয়। আর এই ঘটনার পর যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটি চমকে ওঠার মতো।
কিন্তু, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে চলছে দোনামনা। এই ঘটনায় যেমন তারকাদের একাংশ মর্মাহত, ঠিক তেমনই, তাঁরা সেই পরিচালকের শাস্তির দাবিতে সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন। এমনই নেশায় মত্ত, যে সে এটাও জানে না মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে নেই? নানা প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু, একজন লোক যে কারণে এত অশান্তি, তাঁর শাস্তি দাবি করেই সুদীপ্তা চক্রবর্তী লিখেছিলেন, "খুনের দায়ে অভিযুক্ত এই মদ্যপ গাড়িচালক পরিচালক কে আমি চিনিনা। আজকের আগে কোনদিন নামও শুনিনি। কিন্তু ঘটনাটা সম্পর্কে জানার পর থেকে গা রি রি করছে। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে ভেবে যে ইনি আমারই কর্মক্ষেত্রের আরেক কর্মী। নেশায় প্রায় অবচেতন যে মেয়েটি ওই গাড়িতেই ছিলেন, তার মুখ চিনি। লজ্জা করলো দেখে। খুব লজ্জা করলো। অসহায় লাগছে। সমস্ত অন্যায়কারী ও তার সহযোগীরা চরম শাস্তি পাক। যার গেলো, যারা গেলো, তারা সঠিক বিচার পাক।"
তাঁর এই পোস্ট দেখেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল দুটো প্রশ্ন। তিনি ইন্ডাস্ট্রির পুরোনো মানুষ। দীর্ঘদিন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। অভিনয় তো বটেই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে সমাজ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে তিনি আওয়াজ তোলেন। এবারও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রশ্ন শুনে তিনি কী উত্তর দিলেন? প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের ঘটনা আদৌ ইন্ডাস্ট্রির নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কিনা? জবাবে অভিনেত্রী বললেন... "শুটিং প্যাকাপের এর পর সেই ইউনিট এর কোন সদস্য কোথায় যাবেন, কী করবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার দায়িত্ব সেই প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত অন্য কারুর হতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রির তো নয়ই। ফিল্ম /টিভি ইন্ডাস্ট্রির সবাই যেহেতু ফ্রিল্যান্সার, তাই শুটিং বা ডাবিং বা ফিল্মমেকিং এর অন্যান্য যে কাজগুলো আছে, সবই কল টাইম আর প্যাক আপ টাইমের এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কে কী করবেন, তাই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি-র ডিসিপ্লিন দায়ী হতে পারেনা। এটা ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিন এর প্রশ্ন।"
আরও পড়ুন - Kolkata Car Accident: 'ইন্ডাস্ট্রি নেশার কবলে চলে যাচ্ছে', মদ্যপ পরিচালকের বেপরোয়া গতির বলি ১! প্রতিবাদী ভাস্বর-সঙ্ঘশ্রী
দ্বিতীয় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, এটা কি জেনারেশনের সমস্যা? তাঁরা কি সত্যিই বেলাগাম? এক সন্তানের মা তিনি। সেও এই প্রজন্মে বেড়ে উঠছে। অভিনেত্রীর কথায়, "এখনকার অনেক কিছুই অবাক করে, কষ্ট দেয়। কিন্তু আমি কারুর অভিভাবক নই। নিজস্ব আচরণ কী হবে, কেমন হবে, তাই নিয়ে নিজের মেয়ে বা খুব কাছের কাউকে বা আমার ছাত্র ছাত্রীদের শেখানোর চেষ্টা করতে পারি বড়জোর। তার বাইরে আমার সত্যিই কিছু করণীয় নেই, হতাশ হওয়া, দুঃখ পাওয়া, লজ্জা পাওয়া ছাড়া।"
প্রসঙ্গে, যে ঘটনা ঘটেছে তাঁর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে আরিয়ান ভৌমিক থেকে ঋ এবং স্যান্ডি সাহার। জানা যাচ্ছিল, সেই ঘটনার পরই ঋ সেখান থেকে পালিয়ে যান। সান বাংলার সিরিয়াল ভিডিও বৌদির TRP উদযাপন করতেই পানশালায় গিয়েছিলেন সেই পরিচালক এবং এরা। তারপরই ঘটে এই ঘটনা।