বঙ্গে ব্যান 'দ্যা কেরালা স্টোরি', সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছেন। এবং তারপর থেকেই উত্তেজনা। আরও বেশি করে এই ছবি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সিনেপ্রেমীরা। প্রসঙ্গে, বলিউডের তারকারাও বিরোধ করেছেন। অনুরাগ কাশ্যপ জানিয়েছিলেন, অপপ্রচার হোক অথবা প্রপাগান্ডা, ছবি নিষিদ্ধ অথবা ব্যান করা কোনও অপশন নয়।
কিন্তু এই রাজ্যের শিল্পীদের ভাবনা আসলে কী? তারা কিভাবে দেখছেন এই বিষয়? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় শ্রীলেখা মিত্র এবং মানসী সিনহার সঙ্গে। তারপর তারা যা বললেন....
আরও পড়ুন < ‘খুব অন্যায় হয়েছে’, বাংলায় নিষিদ্ধ ‘The Kerala Story’! মমতাকে চাঁচাছোলা আক্রমণ অনুরাগ কাশ্যপের >
দুজনেই বেশ ঠোঁটকাটা মানুষ। কেরালা স্টোরি ব্যান শুনেই শ্রীলেখা মিত্র যা জানালেন তাতে এটুকু পরিষ্কার, তিনি সম্পূর্ন ঘটনার নিউট্রাল ভাবনা চিন্তা করেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, "এটা নিয়ে কী বলব বলো তো। আমি শুনেছি এটা প্রপাগান্ডা ফিল্ম, এবার যদি বলো তবে ব্যান করারই বা কি রয়েছে আর আবার এও বলতে পারি এধরনের ছবি বানানোরই বা কী রয়েছে। একটা ধর্মীয় বিষয় তো, যাই হোক। আবার এটাও বলব যিনি ব্যান করেছেন তারা বা তাঁর সরকার কি এধরনের ছবি বানান নি? নতুন নয় প্রপাগান্ডা ছবি...ব্যান করে কী পেল? ভাল কি মন্দ, তার থেকেও এটাই বলব যে খুব বিরক্তিকর বিষয়। ব্যান করে মানুষের আগ্রহটা আরও বাড়িয়ে দিল। এবার জানো নিশ্চই, সবই তো একটা রাজনৈতিক এবং দলীয় রঙের বিষয়...দুজনের মধ্যে শার্ড আছে কিনা কেউ জানে না কিন্তু।"
টলিপাড়ার আরেক স্বচ্ছ এবং ঠোঁটকাটা মানুষের তালিকার মধ্যে যিনি পড়েন তিনি হলেন মানসী সিনহা। তাঁর যুক্তি এবং বক্তব্য সবসময় মুগ্ধ করে দর্শকদের। অভিনয় তো বটেই তাঁর সঙ্গে বাস্তবের পরিস্থিতিকে নিয়েও তাঁর মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় থাকেন অনেকেই। তিনি কি বলছেন এই বিষয়ে? তাঁর কথায়...
আরও পড়ুন < আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি, মমতা ছবি নিষিদ্ধ করতেই পাল্টা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালক-প্রযোজকের >
"আমি না সমর্থন করি না এই ব্যান করার বিষয়টাকে। একটা ছবি বানানো হয় সকলের জন্য। এখন কেউ যদি ছবিটা না দেখে তাহলে তো বোঝা মুশকিল, যে এটা ভাল ছবি না খারাপ ছবি। আবার দেখ, কেউ যদি আমাদের ওপর কড়া নির্দেশ করে দেন, একজন গার্জেন হয়ে ছড়ি ঘোরান, তাহলে খুব মুশকিল। তবে, ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এটা কিন্তু ইসলামের বিরোধী ছবি হতে পারে না। বরং যারা ইসলামকে কাজে লাগিয়ে এহেন কাজ করছেন সেইসব মানুষকে তুলে ধরছে এই ছবি। আমার কী মনে হয় বলতো, যারা সত্যিই ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদেরও জানা উচিত যে কে বা কারা ইসলামের অবমাননা করছেন। আমি তো এতে সন্ত্রাসবাদকে প্রাধান্য দেওয়া বা কিছু দেখতে পেলাম না। আমার খুব অদ্ভুত লেগেছে যে ব্যান কেন হবে? একটা ধর্মকে হাতিয়ার করে এসব কেন..? এতে করে আরও কী হল, যারা দেখতেন না ছবিটা তারাও একরকম কৌতূহলের বশে দেখার জন্য লাফালাফি করছে।"
কথায় বলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু রাখঢাক নেই। তেমনই শেষ কিছুদিন ধরে ভাইরাল 'দ্যা কেরালা স্টোরির' হলপপ্রিন্ট লিংক। দর্শকরা দেখছেন এই ছবি। কেউ কেউ রিভিউ শেয়ার করেছেন। তবে, টলিপাড়ার অনেকেই যে ঘটনায় মোটেই খুশি নন একথা পরিষ্কার।