/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/11/annu-2025-09-11-17-20-35.jpg)
যা বললেন এই অভিনেতা...
প্রবীণ অভিনেতা অন্নু কাপুর হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের এক অনন্য নাম। অভিনয়ে তাঁর দক্ষতা আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে। তবে তাঁর সাফল্যের পথ একেবারেই সহজ ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অন্নু স্মরণ করেছেন জীবনের সেই কঠিন দিনগুলির কথা, যখন বেঁচে থাকার জন্য তাঁকে চা বিক্রি করতে হয়েছিল।
তাঁর কথায়, "আমি চা বিক্রি করেছি, তবে আমার দারিদ্র্যকে কখনও গৌরবের বিষয় মনে করি না। সেটি ছিল কেবল আমার জীবনের একটি অধ্যায়, যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমাকে।" শুধু চা নয়, জীবনের নানা সময়ে তিনি অটোরিকশা চালানো থেকে শুরু করে চুড়ান, লটারির টিকিট এমনকি আতশবাজিও বিক্রি করেছেন। তাঁর কথায়, "আমি যা করেছি, সততার সঙ্গে করেছি। কেবল কয়েক টাকা রোজগারের জন্য।"
অন্নুর জীবনের অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি জানান, তাঁর বাবা ১৯৬১ সালে ভোপালের বাড়ি ছেড়ে চলে যান, থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসার কারণে। কিন্তু সেই সময় সমাজে থিয়েটার বা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ছোট করে দেখা হত। তাই অন্নুর ঠাকুরমা, নিজের ছেলেকে ঘরছাড়া করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ, ৪৬- এই না ফেরার দেশে ইউটিউবার
তবুও বাবা-মা তাঁর মধ্যে প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা গড়ে তুলেছিলেন। অন্নু বলেন, “আমার মা বাঙালি ব্রাহ্মণ হলেও উর্দু পণ্ডিত ছিলেন। আর আমার বাবা, ছিলেন প্রকৃত নারীবাদী। তিনি নারীদের অসম্ভব সম্মান করতেন। তাঁর কাছ থেকেই আমি সেই শিক্ষাই পেয়েছি।”
অভিনেতা আরও মনে করিয়ে দেন তাঁর শৈশবের দিনগুলির কথা, যখন মা মাসে মাত্র ৪০ টাকা উপার্জন করতেন, আর তিনি টাকা বাঁচাতে হেঁটে স্কুলে যেতেন। আজ, দামি স্যুট পরে বিলাসবহুল গাড়িতে চড়লেও তিনি সেই দিনগুলিকে ভোলেন না। তাঁকে বলতে শোনা গেল..
"যখনই মনে হয় কতটা বদলে গেছে জীবন, আমি নিজেকে মনে করাই যে একসময় ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। এখন পরিস্থিতি ভাল হয়েছে, কিন্তু সেই চিন্তা আসামাত্রই আমি প্রার্থনা করি যেন সবকিছু ভাল হয়। যদিও আমি নিজেকে নাস্তিক ভাবি, তাও।"