থিয়েটার শিল্পী সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। এদিন এক পড়ুয়া অভিযোগ করেন সুদীপ্ত বাবু তাঁকে অভিনয় শেখানোর ছলে যৌন হেনস্থা করেছেন। তারপরেই কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, দ্য হেরিটেজ অ্যাকাডেমিতে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। তিনি এই কলেজে মিডিয়া সায়েন্সের পড়ুয়াদের সিনেমা ও থিয়েটার পড়াতেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই কলেজে আভ্যন্তরীন অভিযোগ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।
যদিও সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের এই অভিযোগকে ''তথ্য বিকৃতি ও সত্য ঘটনার ভুল ব্যখ্যা'' বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এটি ছিল সম্পূর্ণ শিক্ষামূলক এবং সম্মতিপূর্ণ। এখানে যৌনতা ছিলনা। ও নাটকের যে চরিত্রটা করছিল তার আরও গভীরে যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয়। তাতে নাটকের মঞ্চ উপস্থাপনায় আরও উন্নতি হয়েছে''।
আরও পড়ুন, দিল সে দিল তক-এর ফ্লোরে রেশমিকে নাকি হেনস্থা করতেন সিদ্ধার্থ!
বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে অভিযোগকারীনি লিখেছিলেন, সুদীপ্ত বাবু তাকে নিজের বাড়িতে ডাকেন নাটকের চরিত্রটায় তাঁর অভিনয়ের খামতি নিয়ে আলোচনা করে তা আরও ভাল করার জন্য সাহায্য করবেন। কিন্তু সুদীপ্তবাবু তাঁকে ভুলভাবে স্পর্শ করেন। অভিযোগকারীনি জানিয়েছে, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁকে আরও নানা ভাবে যৌন হেনস্থা করেন এবং এবার তাঁকে বিষয়টা সামনে আনতেই হত।
অভিযোগকারীনি বলেন, ''এখনও পর্যন্ত কোন এফআইআর করিনি। কলেজ একটি আভ্যন্তরীন কমিটি গঠন করেছে সেখানে সহযোগীতা করছি। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি মহিলা কমিশনেও নিয়ে যাব''। কলেজের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, যেহেতু আইসিসি (ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি) বিষয়টি দেখছে তাই এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন, এককালে রিয়্যালিটি শোয়ের বিজেতা, মাদকের কবল থেকে বেরিয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে
সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, দ্য হেরিটেজ একাডেমির এইচআর তাকে ডেকে পাঠালে তিনি প্রথম অভিযোগের বিষয়টা প্রথম জানতে পারেন। “কেবলমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আমাকে দোষী বলা হচ্ছিল এবং এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করা ছাড়া কিছু করার ছিলনা। নিজের আত্মসম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা দরকার ছিল, বলেন তিনি। একই সঙ্গে জানান এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি।