জাতীয় পুরস্কার নিয়ে এবার যা বিতর্ক শুরু হয়েছে, নানা আলোচনা সারা দেশ জুড়ে। এমন কিছু সিনেমা বা শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই এবারের জাতীয় পুরস্কারে ভাগ বসিয়েছেন, তারা যে এবারে জাতীয় পুরস্কার পেতে পারেন এবং সেইসব ছবির জন্য অনেকে বিশ্বাস করতে পারেন না। দ্যা কেরালা স্টোরি পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার। এখানেই শেষ না। আরও অনেকেই আছেন এবারের বিজেতা লিস্টে। জাতীয় পুরস্কার যেমন কিছু তারকার মনে আনন্দ এনে দেয়। ঠিক তেমনই, কেউ কেউ আছেন পুরস্কার না পেয়ে হতাশায় ভুগতে শুরু করে।
বর্তমানে পৃথ্বীরাজ সুকুমারণের আদুজেভিথাম রয়েছে আলোচনায়। এই ছবিতে অভিনেতা তার জীবনের সবকিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি, তাঁর চেহারা থেকে শারীরিক গঠনে পর্যন্ত বদল এনেছিলেন অভিনেতা। সেই ছবি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে পুরস্কৃত হল না দেখেই সারাদেশে নানান ধরনের সমালোচনা হচ্ছে। এবং দাবি করা হচ্ছে মোহনলালের এমপুরানের জন্যই নাকি এই ছবিকে অদেখা করা হয়েছে। তবে এহেন ঘটনা আগেও হয়েছিল। মালায়ালম ছবির ক্ষেত্রেই। যেমন?
সালটা ২০০০। কলাভবন মণি, যিনি সেবছর জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য অন্যতম দাবিদার ছিলেন, তাঁর সঙ্গেই নাকি হয়েছিল অন্যায়? এবং তিনি নাকি এই জাতীয় পুরস্কারের কারণেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। বসন্তিয়ুম লক্ষ্মীয়াম পিন্নে নাজানুম' ছবিতে পার্থিব আকর্ষণ এবং শক্তিশালী অভিনয়ের জন্য তার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। সে বছর চালাকুরিতে জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার আগের রাতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উৎসব। বাজি পোড়ানো সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া দাওয়া হয়েছিল বিরাট। স্থানীয়দের জন্য এই ছিল গর্বের বিষয়। কিন্তু...
Vivek Agnihotri-The Bengal Files: বহু FIR, 'আমাকে কেউ থামাতে পারবে না', 'দ্যা বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে শাসকদলকে হুঁশিয়ারি বিবেকের
জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে নেমে এলো, মন খারাপের মেঘ। তখন এই অভিনেতা নিজের পরিবারের সঙ্গে বসে সম্প্রচার দেখছিলেন। আশা করেছিলেন এবার জাতীয় পুরস্কার তার হবে। কিন্তু যেই মুহূর্তে বানপ্রস্থমের জন্য মোহনলালের নাম ঘোষণা করা হয়, ঠিক তখনই, ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে জানিয়ে অভিনেতা। আনন্দ তখন যেন শোকে পরিণত হলো। যদিও এমন জানা যায় তিনি একটি বিশেষ জুরি মেনশন পেয়েছিলেন, মোহন লালের এই ছবির কারণে তিনি যে উপেক্ষিত হয়েছিলেন, এ কষ্ট তার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব ছিল।
পরিচালক বিনয়ন, তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার আগের দিন রাতে ঠিক যতটা আনন্দ করেছিলেন কলাভবন, ঠিক ততটাই পরের দিন কান্নাকাটি করেছিলেন তিনি। আরেকবার জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে বীভৎস সমালোচনা হয়। ‘পেরুমথাচান’-এ অভিনয়ের জন্য থিলাকান ছিলেন সেরা অভিনেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। সমালোচক ও জুরি—সবাই প্রায় নিশ্চিত ছিলেন তাঁর জয়ে। কিন্তু পুরস্কার পান অমিতাভ বচ্চন ‘অগ্নিপথ’-এর জন্য। বিষয়টি এতটাই আঘাতজনক ছিল যে, মানতে পারেননি তিনি।