ইন্ডাস্ট্রিতে যারা জায়গা করে নিতে পারেন তাঁরা সকলেই কি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান? নাকি তাঁদের মধ্যে এমন কিছু প্রতিভা থাকে যা, এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। এমনই এক প্রতিভা ভারতের বুকে আছে, যার একসময় দিন কেটেছে অন্যের বাড়ির বাসী খাবার খেয়ে, যার কাছে জীবন মানেই এক কঠিন সংগ্রাম। কিন্তু তাঁর প্রতিভা সকলকে চমকে দিয়েছে।
তাঁকে দেখে প্রথম দিকে অনেকেই হেসেছেন। তাঁর স্থুল চেহারা নিয়ে খোরাক করেছেন। কিন্তু, কেউ তাঁকে নিয়ে মজা করার আগে তিনি নিজেই সেসব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কাছে নিজের প্রতিভা ছিল আসল। বরং পাত্তা দেননি কোনও মন্তব্যকেই। তাঁর মা মাত্র ২২ বছর বয়সে বিধবা হন। কিন্তু, মেয়েকে একেবারেই তাঁর স্বপ্ন নিয়ে পিছনে পরে থাকতে দেননি। বরং, পরিবারের সকলের এই বিষয়টি নিয়েই যা নয় তাই বলেছেন সেই প্রতিভাকে। কিন্তু...
Rudranil Ghosh on Bengali Controversy: 'উনি বাঙালিকে না, ওদের রক্ত …
মুম্বাই যারা আসে, সকলেই খারাপ? তারাই খারাপ পথে নাম লেখায়? মানুষ তো অনেককেই কাঁদাতে পারেন। কিন্তু, হাসাতে কজন পারেন? এই মানুষটি নিজের অপমান করেও সকলকে হাসিয়েছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের অজানা গল্প মানুষকে কাঁদিয়ে ছেড়ে দেবে। প্রসঙ্গে ভারতী সিং। কমেডি কুইন হিসেবে তিনি জনপ্রিয়। একবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল আমি যখন অডিশন দিয়ে মুম্বাই আসছি, আমার পরিবারের অশিক্ষিতরা আমায় নিয়ে যা নয় তাই বলেছিল। এমনও বলেছিল, মাথার ওপর বাবা নেই এদিকে মুম্বাই যাচ্ছে।
ছোটবেলার কঠিন দিনঃ
আমার মা লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করত। জীবনের কঠিন সময় আমার দেখা। মা রান্না করত আমি যেতাম উনার সঙ্গে। আমি একপাশে ভাঙাচোরা খেলনা নিয়ে খেলতাম। তারপর যখন সেই বাড়ির লোকেরা মা-কে বলত যে রাতের পনীর-ডাল বেচেছে, নিয়ে যেও- সেই যে খুশি আমাদের হত। যে আজ একটু ভাল খাব। মা-কে বলতাম তাড়াতাড়ি বাড়ি চল। কারওর বাড়ির বাসী আমাদের জন্য ভাল ছিল। আমি নিজেকে ভাট্টিতে সেঁকেছি। তারপর এই জায়গায় দাঁড়িয়েছি।
যদিও একথা অনেকেই জানেন, ভারতী একবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর মা চাননি তিনি জন্ম নিক। এবং একথাও একবার তাঁর মা বলেছিলেন, ভারতী বাইরে থাকলেই চারপাশ ভাল থাকে। এবং বাড়িতে শান্তি থাকে। নইলে তিনি সবাইকে বিরক্ত করেন।