Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

বাছাই বিনোদনের খবর: কালই মুক্তি দিল বেচারার, বাংলা ছবি রাশিয়ায়, সোনুর কীর্তি

বিনোদনের সেরা খবর জেনে নিন এক ক্লিকে- ঘরে ফেরানোর পর এবার শ্রমিকদের চাকরির ব্যবস্থাও করছেন সোনু সুদ। বাংলা ছবি এবার রাশিয়ান টিভির প্রিমিয়ারে, চমকে দিলেন সত্যজিৎ। দিল বেচারার মুক্তি আগামীকাল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শ্রমিকদের চাকরির জন্য উদ্যোগ নিলেন সোনু সুদ। বাংলা ছবি এবার রাশিয়ায়। আগামীকাল মুক্তি দিল বেচারা-র।

Advertisment

মুক্তি পাচ্ছে দিল বেচারা

publive-image

কেরিয়ারের শেষ ছবি। সুশান্ত সিং রাজপুতের সেই শেষ ছবি 'দিল বেচারা' ঘিরেই আপাতত উন্মাদনা তুঙ্গে ভক্তদের। কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে পরিচালক হয়ে যাওয়া মুকেশ ছাবরার এটাই প্রথম সিনেমা। সুশান্তের শেষ সিনেমায় সহ অভিনেত্রী সঞ্জনা সংঘী। এছাড়াও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সইফ আলি খান এবং জাভেদ জাফরির মত তারকারা রয়েছেন।

আরও পড়ুন সুশান্তকে ট্রিবিউট টিম ‘দিল বেচারা’র, শোকে, বিষণ্ণতায় ভাসল অনুষ্ঠান

জন গ্রিনের বেস্ট সেলিং উপন্যাস 'ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস' এর উপর ভিত্তি করে আগেই হলিউডে সিনেমা হয়ে গিয়েছে। জস বুনের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শেইলেন উডলি, এনসেল এলগর্ত।

একটা সাপোর্ট গ্রুপে একজন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী কিজির দেখা হয়ে যায় মারণ রোগ-জয়ী ম্যানির। তারপর কীভাবে মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা কিজির জীবন বদলে যায়, তা নিয়েই সিনেমার গল্প বোনা হয়েছে। ছবির প্রোমো মুক্তির পরেই সুপারহিট।

'দিল বেচারা' ছবিতে সুর দিয়েছেন এআর রহমান। 'মাশখারি', 'ম্যায় তুমহারা', 'তারে গিন', এবং টাইটেল ট্র্যাক 'দিল বেচারা' গানে নিজের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স রহমান সাহেবের। সম্প্রতি 'দিল বেচারা' মিউজিক ট্রিবিউটও দিয়েছে প্রয়াত অভিনেতাকে।

কোথায় কখন দেখবেন 'দিল বেচারা'?
সিনেমার নির্মাতাদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে এই ছবি। আগামীকাল ২৪ জুলাই ডিজনি হটস্টারে এই ছবি সরাসরি স্ট্রিমিং শুরু হবে। ভারতে ডিজনি-হটস্টারে প্রিমিয়ার হবে এই ছবির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে হটস্টারে সম্প্রচারিত হবে তারপর। সাবস্ক্রাইবার ও নন-সাবস্ক্রাইবাররা এই ছবি দেখতে পাবেন সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা থেকে।

এই ছবির রিলিজ ডেট জানাতে গিয়ে পরিচালক মুকেশ ছাবরা জানিয়েছেন, "আমরা সকলের কাছে এই সিনেমা স্পেশ্যাল করে রাখতে চাই। সবাই দিন ও সময় ঠিক করে রাখুন। এসো সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখি। সিনেমার প্রিমিয়ার শো এসো একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে উপভোগ করি। এটা শুধুই সুশান্তের জন্য।"

সোনুর ভাবনা

publive-image

পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে তাঁর উদ্যোগের কথা এখনো ভোলেনি গোটা দেশ। এর মধ্যেই নতুন কীর্তি গড়তে চলেছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। একটি এপ লঞ্চ করছেন তিনি। যার মাধ্যমে কাজ হারানো শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুবিধা হয়।

প্রবাসী রোজগার এপটি ভার্চুয়াল জগতে পা রাখছে এদিন, বৃহস্পতিবারই। এই এপটির সঙ্গেই যুক্ত ৫০০টিরও বেশি নামি সংস্থা। যারা নিজেদের প্রয়োজন মত গৃহনির্মাণ, বস্ত্র, বিপণন, বিপিও, ইঞ্জিনিয়ারিং, নিরাপত্তা, পরিবহন, ই কমার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেবে। তা দেখেই সংশ্লিষ্ট সংস্থায় আবেদন করতে পারবেন শ্রমিকরা। দেশের সাতটি শহর দিল্লি, মুম্বই, তিরুবন্তপুরম, ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদ, কোয়েম্বাতুর এবং আহমেদাবাদ- এ থাকবে সাপোর্ট সেন্টার।

কীভাবে এমন এপ লঞ্চের পরিকল্পনা মাথায় এল, সোনু সুদ বলছিলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় তিনি জানতে পারেন উপযুক্ত সুযোগ পেলে তারা কীভাবে ফের কাজে ফিরতে চান। এর পরেই সোনু সুদ ঠিক করেন দেশের সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের একই প্লাটফর্মে এনে বিভিন্ন কোম্পানিদেরও যাতে একই ছাদের তলায় আনা যায়। দেশের সমস্ত মেট্রোপলিটন শহরেই কর্মসংস্থানের জন্যই সোনুর এই উদ্যোগ।

প্রবাসী রোজগার এপ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার থেকে অভিনেতা বনে যাওয়া সোনু সুদ বলছিলেন, "এই এপ তৈরি করতে শেষ কয়েক মাসে অনেক পরিকল্পনা, চিন্তাভাবনা, প্রস্তুতি লেগেছে। কারোর যাতে কাজের অভাব না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। দেশের সেরা সংস্থাগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে একদম তৃণমূল স্তরে দরিদ্র শ্রেণির নীচে থাকা সবাইকে চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছে।"

এর আগে লকডাউন পর্বে সোনু সুদ দেশের হাজার হাজার শ্রমিককে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

বাংলা ছবির প্রিমিয়ার রাশিয়ায়

publive-image

এর আগে একাধিক দেশে আগেই প্রশংসিত হয়েছিল বাংলার ছবি। সত্যজিৎ দাস পরিচালিত 'পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক' ছবি এবার পা রাখল রাশিয়ায়। তারকভস্কি, আইজেনস্টাইনদের দেশের একটি টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে বিশ্বের সেরা কিছু সিনেমা। সেখানেই জায়গা করে নিয়েছে 'পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক'।

রাশিয়ায় আসার আগে সত্যজিতের এই ছবি আফ্রিকা-জয় করে এসেছিল। আফ্রিকান একটি টিভি চ্যানেলের প্রিমিয়ারে এই ছবি প্রভূত প্রশংসা কুড়োয়। ক্রিটিক্স চয়েস আওয়ার্ডও জিতে নেয় এই ছবি।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তারপর টানা পাঁচ সপ্তাহ থিয়েটারে এই সিনেমা চলে।

৯০ মিনিটের এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ রহমান। একজন অন্ধ বালকের চিত্রকর হয়ে ওঠার এই গল্প এই সিনেমার চিত্রনাট্যের মূল ভিত্তি। দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়ে ওঠে এক কিশোর গ্রামে। বাবা ছেড়ে যান আগে। সেই ছেলেটির বন্ধু তাঁকে উপলব্ধির প্রাথমিক পাঠ দেয়। চারটে ইন্দ্রিয়ের সেই পাঠ ভুলিয়ে দেয় দৃষ্টিশক্তির অক্ষমতা। অন্ধ চিত্রকরের সঙ্গে মা-ছেলের সম্পর্ককেও একটি সুতোয় গেথেছেন তিনি। এই ছবিতে রয়েছে অন্ধত্বের সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াইও।

কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পাশাপাশি এই ছবি স্লোভাকিয়া, কায়রো, পর্তুগাল, পেরু, গুয়েতমালা, কলম্বিয়া সহ একাধিক দেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়।

corona virus Migrant labourer
Advertisment