অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী নিজের কেরিয়ারে তাঁর ডায়লগের কারণে দারুণ জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, এই অভিনেতা ফাইট করতেন যখন, তখন তিনি অনেক কান্ড কার্তি করতেন। তিনি যে ছবিতে অভিনয় করতেন, সেইগুলিতে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করতেন দুলাল লাহিড়ী, বিপ্লবেরা। কিন্তু, একজন অভিনেতা হিসেবে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর দারুণ কুখ্যাতি ছিল। তিনি নাকি ফাইট সিকোয়েন্সের সময়...
হিরোদের হাতে ভিলেনরা মার খাবেন, এমনটা খুব স্বাভাবিক। একদল পাবলিক সিনেমাহলে যান হিরোরা চূড়ান্ত মারবেন, তাঁদের সেই ফাইট দেখতে। এবং দীপঙ্কর দে, একসময়ের খলনায়ক, তিনি চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে নিয়ে জানিয়েছিলেন, নানা কথা। শুধু তাই নয়, অভিনেতা ঠিক কী কী করতেন, সেটাই জানিয়েছিলেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তিনি যেভাবে ফাইট করতেন, তাতে কেউই ভয় পেতেন না। কিন্তু, রঞ্জিত মল্লিক এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তী যা করতেন, সেটা কিন্তু সকলের মনে আজও রয়েছে। দীপঙ্কর একবার জানিয়েছিলেন...
"বুম্বা মারতো ভাল। ওর মারের হাত ভাল ছিল। ওর সঙ্গে ফাইট সিন মানে আশঙ্কা ছিল না। ব্যথা লাগার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু, স্ক্রিনে মনে হতো কত মারল। এদিকে রঞ্জিত মল্লিক এবং চিরঞ্জিত ওদেরকে দেখলেই আমরা ভয়ে পালাতাম। কী ভয়াবহ মার ছিল।" দীপঙ্কর সোজাসুজি জানিয়েছিলেন, চিরঞ্জিত একেবারেই টাইমিং মেনে চলতেন না। ভয়ে থাকতেন অভিনেতারা। হুটহাট মেরে দিতেন। তিনি বলেন... "একবার দুলালকে মেরে গোড়ালি ভেঙে দিয়েছিল চিরঞ্জিত! কী ভয়াবহ। সবথেকে বড় কথা, রঞ্জিত মল্লিক নিজেও সেটাই ছিলেন। উনিও, এভাবেই মারতেন। উনার মেরে মেরে হাঁফ ধরে যেত।"
প্রসঙ্গে ২৫ তারিখ ছোট ভাইকে হারিয়েছেন চিরঞ্জিত। হৃদরোগে আচমকাই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। এবং যাকে একসময় কোলে নিয়ে ঘুরছেন, তিনি যে এভাবে চলে যাবেন, যেন বড় দাদা হয়ে মেনে নিতে পারছেন না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে মনের যন্ত্রণা চেপে বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ তারিখ। সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠল। ওঁর স্ত্রী মজা করে বলল, আজ তুমি অনেকক্ষণ ঘুমালে। তখন ও বলেছে, হ্যাঁ আজ ভাল ঘুম য়েছে। তখন হঠাৎই কলিং বেল বেজেছে। ওঁর স্ত্রী বারান্দায় দেখতে গেল কে এসেছে। ফিরে এসে দেখে ওঁর আর কোনও সাড়াশব্দ নেই, চুপচাপ শুয়ে আছে। "