মৃত্যু, মেনে নেওয়া খুব কঠিন। কিন্তু, মৃত্যুর মতো কঠিন বাস্তব মেনে না নোয়ও ছাড়া সত্যিই উপায় নেই। এটি এমন এক সত্য, যা মানুষকে নাড়িয়ে দেয়। শুধু কি কাছের মানুষের মৃত্যু, না! বেশ কিছু তারকার মৃত্যুও মানুষ মনে রেখে দেবেন। এমন কিছু মৃত্যুর যার কোনও সুরাহা হয়নি। যে কারণে মানুষ এমন কিছু প্রতিভাকে হারিয়েছে যেটা না হলেই হয়তো ভাল হত। সেরকম একজন বাংলা সিনেমার রানী মহুয়া রায়চৌধুরি।
এই অভিনেত্রীর হাসি এবং সৌন্দর্য মন কেড়েছিল বাংলার মানুষের। তাঁর পুতুল পুতুল গড়ন এবং অভিনয় দক্ষতায় মজেছিল বাঙালি। কিন্তু সেই সুখ বাংলার সিনেপ্রেমীদের বেশি স্থায়ী হয়নি। বরং, মহুয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেদিন আগুনে জ্বলেছিল অসংখ্য মানুষের ভালবাসা। নানা কথা শোনা যায়। মহুয়ার ফিল্মি কেরিয়ার যতটা উজ্জ্বল ছিল, তততাই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল ফ্যাকাশে। ১৮ বছর বয়সে বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন তিলক চক্রবর্তীকে। দাম্পত্য একেবারেই সুখের ছিল না। একবছরের মাথায় ছেলে হয় তাঁর।
Bangladesh Singer Noble: ৪টে বিয়ে কিংবা রিহ্যাব, যত কেলোর কীর্তি বাং…
মহুয়া ছিলেন বাংলা সিনেমার অন্যতম নক্ষত্র। কিন্তু তাঁর জীবন পাল্টে গেল আগুনের শিখায়। জানা যায়, সেদিন রাতে নাকি মহুয়ার গায়ে আগুন লাগে। কেউ বলেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আবার কেউ করেন খুনের অভিযোগ। কিন্তু আদৌ সেদিন কী হয়েছিল সেই রহস্য আজও অজানা। তবে শেষ সময়ে একটাই কথা বারবার বলছিলেন তিনি। যেমন? হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ৭ দিন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ছেলের মা মহুয়া শরীরের ৮০% জ্বলে যাওয়ার পরেও একটাই কথা বলছিলেন কেবল। তাঁর সন্তান গোলা তখন খুব ছোট। মাকে দিনের পর দিন হাসপাতালে কষ্ট পেতে দেখেছে সে। কিন্তু তারপরেও মাকে বাঁচাতে পারেনি। মহুয়া আদর করে তাঁকে গোলা বলে ডাকতেন। তাই তো শেষ সময়ে একটাই কথা বিড়বিড় করছিলেন তিনি। সেটা ছিল, 'গোলা রইল, ওকে দেখিস।' বন্ধু রত্না ঘোষালকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তবে, মহুয়ার এভাবে মৃত্যু না হলেও পারত বলেই বেশিরভাগের দাবি।