টলিপাড়ার পাশাপাশি সর্বত্রই মেয়েরা এখন অসুরক্ষিত। নিজের রাজ্যের বুকে মেয়েরা শ্লীলতাহানির শিকার। যেখানে কর্মক্ষেত্র, সেখানে নিরাপদ নয় তাঁরা। আজ ২৩ দিন পরেও আর জি করের ঘটনার কোনও ইনসাফ হচ্ছে না। ধরা পড়েছে কেবল এক। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন অভিনেত্রীরা। সর্ব সেক্টরের মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
আর আজ মহা মিছিলে সামিল হয়েই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় মোক্ষম প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন। কেন সবসময় মেয়েদের সামনে খাড়া ঝুলবে, সেকথাই বলছেন তিনি। স্বস্তিকা এতদিন মেয়ের কাছে ছিলেন বলেন সক্রিয়ভাবে পথে নেমে আন্দোলন করতে পারেননি। কিন্তু সমাজ মাধ্যমে বারবার কলম ধরেছিলেন। আর আজ রাস্তায় নেমে বললেন...
কী বলছেন অভিনেত্রীরা?
"সবসময় দেখেছি মেয়েরা খাড়ার সামনে ঝুলছে। আগে যেখানেই যেতাম, সেখানে বলতাম কলকাতা সেফেস্ট সিটি। এখন কী বলব? ২৩ দিন হয়ে গেল কিন্তু কিছুই বিচার হল না। আমরা সত্যিই নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে রাজি না, যে যাকে ধরা হয়েছে সেই এই মূল কর্মকাণ্ডের পেছনে দায়ী। আরও অনেকে আছে। এতই যদি সব সহজ সোজা হত, তাহলে বাবা মাকে মিথ্যে বলে আত্মহত্যার কেস বলা হল কেন? কী বিভৎসভাবে প্রমাণ লোপাট করা হল।"
শুধু স্বস্তিকা নয়, আওয়াজ তুলেছেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় নিজেও। তিনি জানিয়েছেন, আমার একটাই প্রশ্ন, এতদিন পরেও কেন ধরা পড়ল না? অন্যদিকে চটিচাটা কটাক্ষ শুনেও অপর্ণা সেন আজ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁকে বলতে শোনা গেল...
"মেয়েদের নিজের বাড়িতে, সর্বত্র আগে জায়গা করে নিতে হবে। স্কুলে স্কুলে মেয়েদের শিক্ষা দিতে হবে এগিয়ে যাওয়ার। আর আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে হবে। মেয়েরা রোজগার না শুরু করলে, কোনোভাবেই এগোতে পারবে না। এই সমাজটা পুরুষদের। পিতৃতন্ত্রের ষড়যন্ত্র এটা, মেয়েদের দাবিয়ে রাখা। আমার পরের কেন! তারপরেও মেয়েরা লড়াই চালিয়ে যাবে। এত সহজে স্বাধীনতা আসবে না। কিন্তু লড়াই থামালে চলবে না।"
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেছিলেন মালায়ালী পরিচালক রনজিতের বিরুদ্ধে। তারপর তিনি তাঁর উল্লেখযোগ্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর, অভিনেত্রী মিনু মনির নিজেও অভিযোগ করেন সেখানকার অভিনেতাদের এবং প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। আর এখন তো টলিপাড়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।