Women Safety In Tollywood: টলিউড আজ সুরক্ষিত নয়। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে ভয়ঙ্কর শ্লীলতাহানির শিকার মেয়েরা। সেখানে যা শুরু হয়েছে, তাঁর রেশ এখন ছড়িয়েছে বাংলাতেও। নায়িকারা এখন তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন, নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন এই বাংলার হিরোদের বিরুদ্ধে।
তাই এবার বাংলার অভিনেত্রীদের সুরক্ষিত করতে ইন্ডাস্ট্রির বুকে শুরু হয়েছে 'সুরক্ষা বন্ধু'। অভিনেত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষা করতেই এই নতুন ব্যবস্থাপনা। সাংবাদিক বৈঠকে স্বরূপ বিশ্বাস নিজেই জানিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে। কাজ করতে এসে মেয়েরা যেন সুরক্ষিত থাকে, তাঁদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেটাই দেখার কাজ সুরক্ষা বন্ধুর। তিনি বলেন...
"কাজ করতে এসে অনেকেই এই আচরণের শিকার হচ্ছেন। ঘৃণ্য আচরণের কবলে পড়েছেন অনেক অভিনেত্রীই। তাঁরা জানিয়েছেন আমাদের একথা। ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন এসবের মধ্যে দিয়ে না যায়, সেইজন্যই আমাদের এই চিন্তা ভাবনা। তাঁরা যাতে সৃজনশীল পরিবেশে কাজ করতে পারে, এটা আমাদের দেখতে হবে।" শেষ কিছুদিন ধরেই মহিলারা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য মহিলা তারকারা নিজেদের আবেদন করেছেন ফেডারেশন, আর্টিস্ট ফোরামের পাশাপাশি ইমপার কাছে। বিনোদনের সব স্তরের মহিলারা সর্বমোট একটি চিঠি লিখেছেন।
কী এই সুরক্ষা বন্ধু?
ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি গিল্ড থেকে একজন করে মহিলা সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এই কমিটি। অফিসিয়াল ইমেল আইডি থাকবে। এবং অভিযোগকারিণী তাঁর নিজের সমস্যার কথা সেই ইমেলে লিখবেন। ফেডারেশন এরমধ্যেই চেষ্টা করেছেন খ্যাতনামা আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। তাঁরা মামলা লড়বেন অভিযোগকারিণীর হয়ে। যদি অভিযোগকারিণী আর্থিকভাবে দুর্বল হন, তবে ফেডারেশন আর্থিক দিক বুঝে নেবে। এমনকি নির্যাতিতাকে মানসিকভাবে শক্ত এবং প্রস্তুত রাখতে সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যেখানে চিকিৎসকের পাশাপাশি মনোবিদরাও থাকবেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেছিলেন মালায়ালী পরিচালক রনজিতের বিরুদ্ধে। তারপর তিনি তাঁর উল্লেখযোগ্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর, অভিনেত্রী মিনু মনির নিজেও অভিযোগ করেন সেখানকার অভিনেতাদের এবং প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। আর এখন তো টলিপাড়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।