বাংলা ছবি নিয়ে নানা ঘটনা আছে। বিশেষ করে পুরোনো কিছু ছবি, যা মানুষের মনে আজও এক অনন্য জায়গা করে রেখেছে, সেই নিয়ে নানা গল্পের কথা আজও অজানা। যেমন? একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, আজকের তারিখটা কী? ৮ই মে। এই দিনেই এমন এক ছবি রিলিজ করেছিল, বা বলা উচিত মুক্তি পেয়েছিল, সেটি ভারতীয় ছবির ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন। মিস্টার রায়ের শিশুপুত্র সন্দীপ রায় এই ছবি বানানোর জন্য বাবার কাছে বায়না ধরেছিলেন।
আজকের দিনে রিলিজ করেছিল সত্যজিৎ রায়ের ক্লাসিক ছবি গুপি গাইন বাঘা বাইন। এই ছবিতে সেই আইকনিক ভূতের রাজাকে মনে আছে তো? জবর জবর তিন বর দিয়েছিলেন তিনি। এবং গুপি বাঘা মিলে তাঁর সদ্ব্যবহার করেছিলেন। এই ছবি নিয়ে কিন্তু ছোটখাটো একটি অশান্তি বাঁধে। এবং সেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল আড়ম্বরের সঙ্গে। মিনার বিজলী এবং ছবিঘর - শহর কলকাতার এই তিনটি হলে সিনেমার অগ্রীম টিকিট বুকিং নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। হওয়াই স্বাভাবিক। মিস্টার রায়ের ছবি বলে কথা।
Bollywood Villain Death story: বিয়ে করেছিলেন ৫টা, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার…
যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল, তাতে লেখা ছিল.. "মিনার বিজলী ছবি ঘরে গতকাল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত পূর্ণিমা পিকচার্সের গুপী গাইন বাঘা বাহিনীর মুক্তি উপলক্ষে যে অশান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, শেষ মুহূর্তে তার অবসান ঘটে। বুধবার অর্থাৎ ৭ তারিখ ছবির অগ্রিম বুকিং শুরু হওয়ার আগেই ওই তিনটি চিত্রগৃহের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ম্যাটনি শো আরম্ভ হওয়ার আগে জানা যায়, সংরক্ষণ সমিতি মিনার বিজলি ছবিঘরের সামনে পূর্ব নির্দিষ্ট পিকেটিং প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তিনটি বাংলা চিত্রগৃহ ছাড়া গ্লোবেও ইংরেজি সাবটাইটেল সহ গুপী গাইন বাঘা বাইন মুক্তি পেয়েছে।" এই ছিল বিজ্ঞপ্তি। ৮ই মে রিলিজ করে এই ছবি। তার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
কিন্তু এই ছবি নির্মাণের পেছনে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ের বায়না রয়েছে। প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত এটি রূপকথা অবলম্বনে এই সিনেমাটি তৈরি করা হয়। সত্যজিৎ ঘরানী বিজয়া রায়, তার আমাদের কথায় লিখেছিলেন এই প্রসঙ্গে। এখান থেকেই জানা যায়, সন্দীপ রায় তখন খুবই ছোট। তার অনুরোধই সত্যজিৎ রায় এই ছবি বানাতে রাজি হয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের স্বয়ং এই চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। এবং এই ছবির সবকটি গান লেখা এবং সুর করা তারই।