/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/14/cats-2025-08-14-15-40-38.jpg)
দেশভাগের আবহে প্রেমের ছবি
patriotic movies-bollywood Love Story: স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে তৈরি বলিউডি সিনেমাগুলিতে শুধু দেশপ্রেম বা আন্দোলনের কাহিনিই চিত্রায়িত হয় না, দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য চিত্রনাট্যে থাকে প্রেমের গল্পও। স্বাধীনতার অস্থির সময়ে জন্ম নেওয়া এই ভালোবাসার কাহিনিগুলো সিনেমায় যোগ করে আবেগপ্রবণ মুহূর্ত যা দর্শকের মনে দাগ কেটে যায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে রোম্যান্স শুধু বিনোদন নয় বরং সেই সময় মানুষের জীবনের বাস্তব অনুভূতির প্রতিফলন। দর্শকও তাই দেশপ্রেমের সঙ্গে ভালোবাসার মুহূর্ত বড় পর্দায় উপভোগ করেন। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে সেইরকম পাঁচটি ছবির কথা না বললেই নয়।
আরও পড়ুন পুষ্পা-সিকন্দরের জমানাতেও নয়ের দশকের নস্ট্যালজিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে কোন সিনেমাগুলো?
১৯৪২: আ লাভ স্টোরি
১৯৪২ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল '১৯৪২: আ লাভ স্টোরি'। সেই সময় ব্রিটিস রাজত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছিল। সেই সময় বহু ভারতীয় হয় ব্রিটিশ শাসনের কাছে মাথা নত করেছিল, অনেকে আবার গোপন বৈঠক ও প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। এইরকম পরিস্থিতিতে অনিল কাপুর-মনীষা কৈরালার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্যেও নরেন্দ্র সিং-রাজেশ্বরী পাঠকের প্রেমকাহিনি নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা সিনেমায় ভালবাসার আদর্শ নিদর্শন।
বর্ডার
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল বর্ডার। স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপটে তৈরি বর্ডার ছবিটিও উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। ধুঁয়াধার অ্যাকশনের সঙ্গে রয়েছে প্রেমের গল্পও। মা, বোন, স্ত্রী, প্রেমিকার সঙ্গে ভালবসার সম্পর্কের প্রতিটি সমীকরণ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে। তাই 'বর্ডার' স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি, যেখানে প্রেমের গল্পের ছোঁয়া রয়েছে বললে মোটেই ভুল বলা হবে না।
রোজা
১৯৯৫ সালের ১৫ অগাস্ট সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল রোজা। মনীষা কৈরালা আর অরবিন্দ স্বামীর রোম্যান্টিক প্রেমকাহিনি দেশাত্মবোধক ছবির বাড়তি পাওনা সে কথা বলাইবাহুল্য।
আরও পড়ুন হাঁটুর বয়সী মেয়ের সঙ্গে রোম্যান্স ৪০-এর রণবীরের! 'ধুরন্ধর'-র প্রথম ঝলক মুক্তি পেতেই তরজা তুঙ্গে
ভীর-জারা
পাকিস্তান সরকার ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে অসম্পূর্ণ মামলাগুলোর পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাক আইনজীবী সামিয়া সিদ্দিকী বন্দি নম্বর ৭৮৬-এর পক্ষের সওয়াল করার দায়িত্ব পান। যার নাম নথিভুক্ত রাজেশ রাঠোর হিসেবে। একটানা ২২ বছর মুখে কুলুপ এটে ছিলেন। কিন্তু, সামিয়া যখন তাঁকে তাঁর আসল নাম, বীর প্রতাপ সিং বলে সম্বোধন করেন, তখন তিনি নীরবতা ভেঙে নিজের জীবনের গল্প শোনাতে শুরু করেন। শাহরুখ-প্রীতি জিন্টার লাভ স্টোরি স্বাধীনতা দিবসের আদর্শ প্রেম কাহিনি।
গদর
১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আরও একটি বলিউড ছবি, যেখানে ভারত-পাক দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রেমকাহিনি এবং সেই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার গল্প 'গদর'। ১৫ অগাস্ট দেশাত্মবোধক ছবির মধ্যে ভালবাসার গন্ধ খুঁজলে এই ছবি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
আরও পড়ুন বলিউডে 'বং কানেকশন', সোনাক্ষীর নতুন ছবির পোস্টারে কী ভাবে নজর কাড়লেন ব্যারাকপুরের মেয়ে একতা?