শহর নিজেকে নিয়ে গর্ব করুক। এরকম একটা ছবি আমার শহরেরই তৈরি হয়েছে, অস্ফুটে বলে উঠলেন পরিচালক। যে ছবি মুক্তি তো দূরের কথা, এক ঝলক প্রকাশ্যে আসার আগেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দকে সবসময়ই সমাজ তার মাপকাঠিতে তুল্যমূল্য বিচার করে এসেছে। এই ছবি সেই বদ্ধপরিকর ধারণা থেকে পরিবর্তনের দিশারী।
সমপ্রেম তো আগেও উঠে এসেছে পর্দায় তবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নগরকীর্তন’ অন্য আঙ্গিকে কথা বলেছে। প্রকাশ্যে এল নগরকীর্তনের ট্রেলার। আসলে এবছর জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে ঋদ্ধি সেনের ডাক এসেছিল এই ছবির জন্যই। সেরা অভিনেতার সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। ঋদ্ধির প্রশংসার পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সকলে।
ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুই অভিনেতা। ফোটো- শশী ঘোষ
নগরকীর্তন এক বাঁশিওয়ালা ও একজন রূপান্তরকামীর ভালবাসার গল্প। নগরকীর্তনের ট্রেলার লঞ্চে এসে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ''ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন সবাই যখন প্রেমের উদযাপন করবে আমরাও তখন 'মধু ও পুঁটি'র প্রেমের কথা বলব। আসলে আমরা কোন জায়গায় ওদের দাঁড় করিয়ে রেখেছি সেটা জানবার প্রয়োজন রয়েছে। জানি দর্শক বুঝবে''।
ছবিতে রূপান্তরকামী পুঁটির ভূমিকায় ঋদ্ধি সেন। ফোটো- শশী ঘোষ
ঋদ্ধির বক্তব্য, ''এই ছবিটার জার্নি শুরু ২০১৬য়। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে এরকম একটা চরিত্র পাওয়াটাই বিশাল ব্যাপার। প্রস্তুতির জন্য লিলি এলবির ম্যান ইনটু ওম্যান পড়েছি, দেখেছি ড্যানিশ গার্লের মতো ছবি তো দেখেইছি, এছাড়াও মা আর সুরঙ্গনাকে ভীষণভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি''।
ঋদ্ধির মত, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও কৌশিক গাঙ্গুলির মতো পরিচালক, এই দুজনই একসঙ্গে ছবিটায় থাকায় বাড়তি সুবিধের কথা তো আলাদা করে বলতে হবেনা। তবে নিজের শহরে নগরকীর্তনের মুক্তি নিয়ে আশাবাদী অভিনেতা। ঋদ্ধি ছাড়াও আর এক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এই ছবির কারণেই ওজন বাড়াতে হয়েছিল ঋত্বিককে। সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে বাদ দিতে হয়েছে তিনটে দৃশ্যেও।
নগরকীর্তনে মধু-বাঁশিওয়ালার ভূমিকায় ঋত্বিক চক্রবর্তী। ফোটো- শশী ঘোষ
আরও পড়ুন, ‘দেবতার গ্রাস’-এ সৌমিত্র-নাসিরউদ্দিন
সমালোচকদের মতে এখনও পর্যন্ত অভিনয় জীবনের সেরাটা দিয়েছেন ঋদ্ধি। শব্দের পর আবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ২০১৯ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী।