Trinayani actors duet goes viral: 'ত্রিনয়নী'-নায়িকা শ্রুতি দাস এবং ওই ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান চরিত্রের অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি মেকআপ রুমে বসেই রেকর্ড করলেন একটি ডুয়েট সং। গানটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শ্রুতি। গুণমুগ্ধরা উচ্ছ্বসিত এই দুজনের গান শুনে। শ্রুতির গানের প্রতিভার কথা অনেকেই জানেন যাঁরা ধারাবাহিকটি নিয়মিত দেখেন। তবে নীল চট্টোপাধ্যায়ের পারিবারিক ঐতিহ্যে যে গান রয়েছে সেটা অনেকের জানা নেই।
'ত্রিনয়নী' নায়িকা শ্রুতি অনেক ছোটবেলা থেকেই নৃত্যশিল্পী, একথা মোটামুটি তাঁর গুণমুগ্ধদের জানা। কিন্তু শ্রুতি যে ভালো গায়িকাও, সেটা জানা গিয়েছে অনেক পরে, ওই ধারাবাহিকেই যখন একটি দৃশ্যে নিজের গলায় গান গাইলেন শ্রুতি। অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ 'ত্রিনয়নী'-র জয়ন্তবাবুও যে সুগায়ক, সেটা সেই সব দর্শক-গুণমুগ্ধদের জানা, যাঁরা নিয়মিত নীলের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইল অনুসরণ করেন। কারণ সময় পেলেই গিটার হাতে তাঁর গানের ভিডিও পোস্ট করেন নীল।
আরও পড়ুন: কেউ ফোস্কা নিয়ে ঠাকুর দেখবেন, কেউ ফিরবেন বাড়ি! পুজো নিয়ে আড্ডায় টিম ‘নকশিকাঁথা’
সম্প্রতি শ্রুতি ও নীল দুজনে শুটিংয়ের একফাঁকে গাইলেন বাংলা ছবির একটি জনপ্রিয় গান-- 'চিরদিনই তুমি যে আমার' সিনেমার 'বাতাসে গুনগুন'। দুজনেই এত ভালো গেয়েছেন গানটি যে এই গানের ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল বলা যায়। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ভিউ স্পর্শ করেছে। শ্রুতির গলা যেমন মিষ্টি, তেমন সুরেলা। আর এই ধরনের গানে যে গায়কী প্রয়োজন, সেটা নিঁখুত ভাবে রয়েছে নীলের গলায়। শুনে নিতে পারেন শ্রুতি ও নীলের ডুয়েট নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
নীলের এই সঙ্গীত-প্রতিভা কিন্তু পারিবারিক। বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত পরিচালক এবং রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বর্ণযুগের বাংলা গানের অন্যতম পুরোধা অনল চট্টোপাধ্যায়ের নাতি হলেন নীল চট্টোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা দাদুকে দেখেই। নীলকে প্রথম যে গানটি শিখিয়েছিলেন তাঁর দাদু সেটি স্বর্ণযুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা গানগুলির একটি-- 'কত গান হারালাম তোমার মাঝে', যা গেয়েছিলেন গীতা দত্ত এবং যে গানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন অনল চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দাদা বলেছিলেন ও-ই আমার নায়িকা আর ও প্রমাণ করে দেবে: অমনদীপ
''আমি দাদা বলতাম। সারা সপ্তাহ দাদা ব্যস্ত থাকতেন অ্যাকাদেমির কাজ ও বাণীচক্রের ক্লাস নিয়ে আর উইকএন্ডে বাড়িতে ক্লাস করতেন। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে শুনতাম। সেখান থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা। তার পরে আমি যখন ইলেভেনে পড়ি, তখন একদিন দাদাকে বললাম, আমাকেও তো একটু শেখাতে পারো। তখনই দাদা প্রথম ওই গানটি শিখিয়েছিলেন'', বলেন নীল।