একই বাড়িতে বাস। একই সঙ্গে ওঠা-বসা। দেখাও হয় কিন্তু কথা হয় না। নাহ, অবশ্য মুখোমুখি কথা না হলেও তাঁদের পরস্পরের যোগাযোগ মাধ্য একটা ডায়েরি শুধুমাত্র। সেই ডায়েরিতে লিখেই একে-অপরের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। একে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন বাবা-মেয়ে। এভাবে বছর তিনেক কেটে গিয়েছে। তবুও 'অপরাজিতা' অভিনেত্রী। কেন বাবার সঙ্গে কথা বন্ধ তুহিনা দাসের (Tuhina Das)?
Advertisment
না, বাস্তবজীবনে এমনটা ঘটেনি। এ এক গল্পের প্লট। যেখানে মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে তুহিনা দাসকে। আর তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (Shantilal Mukherjee)। আর সেই ছবির নাম-ই 'অপরাজিতা' (Aparajita)। পরিচালকের আসনে রোহন সেন। যিনি এর আগে ক্লিক অরিজিন্যালসের 'এভাবেই গল্প হোক' ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃন্দা, দময়ন্তীর পর আবারও এক নয়া চরিত্রে তুহিনা দাস। গল্পটা কীরকম? তার আঁচ অবশ্য প্রথমেই খানিক দেওয়া হয়েছে। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প। আরেক খোলসা করে জানালেন তুহিনা। তাঁর কথায়, এই ছবিতে মেয়েটির চরিত্র মনে করে তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য হয়তো কোথাও গিয়ে বাবাই দায়ী। আর সেই কারণেই বাবার সঙ্গে তাঁর কথা বন্ধ। তাঁদের মাঝখানে জমে গিয়েছে একপাহাড় অভিমান। তবে দায়িত্ব পালনে খামতি নেই। ডায়েরির পাতাই তাঁদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করছেন তুহিনা দাস। ছবির আরেক প্রযোজক অমৃতাকে দেখা যাবে 'অপরাজিতা' অর্থাৎ তুহিনার দিদির চরিত্রে। তাঁর প্রেমিক সাহেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবতনু। গল্পে পারিবারিক চিকিৎসকের মধ্যস্থতাতেই বাবা-মেয়ের সম্পর্কের জটিলতার নেপথ্যের কারণটি প্রকাশ্যে আসে। যে চরিত্রে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুর। ইতিমধ্যেই 'অপরাজিতা'র শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ছবির মিউজিকের ভার বর্তেছে কৃষ্ণেন্দু রাজ আচার্যের উপর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন