Anita Hassanandani Post: হিন্দি টেলিভিশন থেকে সিনেমা, এক নামে পরিচিত অনিতা হাসনান্দানি। হিন্দি ও তেলুগু সিনেমায় কাজের পাশাপাশি হিন্দি মেগায় অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন। টেলি সিরিজ 'ইধার উধার'-এর মাধ্যমে অভিনয় জগৎ-এ হাতেখড়ি। আর তেলুগু মুভি নুভ্ভু নেনু-তে প্রথম বড় পর্দায় অভিনয়। অনিতার অভিনয় কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে অন্যতম কভি সওতন কভি সহেলি, কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি, ইয়ে হ্যায় মহব্বতে, নাগিন ৩। অভিনেত্রী হিসেবে অনিতার রয়েছে একটা বিরাট ফ্যানবেস। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মন খারাপ অনুরাগীদের। আর হয়ত তাঁকে দেখা যাবে না ইনস্টাগ্রামে! লেটেস্ট পোস্টে রয়েছে সেই রকমই ইঙ্গিত।
কী লিখেছেন অনিতা হাসনান্দানি। পোস্টে ধোঁয়াশা রেখে অভিনেত্রী লেখেন, 'দুঃখিত বন্ধুরা। অনেক হয়েছে এবার আমি বিদায় নিলাম। অনেকদিন হল, এখন নিজের কথা শোনার সময় এসে গিয়েছে।' সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় অভিনেত্রী। শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যুর সাতদিন পর প্রথমবার স্ত্রীক স্মৃতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদয়বিদারক পোস্ট শেয়ার করেছেন অভিনেতা স্বামী পরাগ ত্যাগী। কমেন্ট বক্সেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনিতা অতীত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ২০০৭ সালে Kkavyanjali-এর সহ অভিনেতা ইজাজ খানের সঙ্গে ভেঙে যায় প্রেমের সম্পর্ক।
সিদ্ধার্থ কাননকে ৪৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী মন কি বাত শেয়ার করেন। সেখানেই তিনি বলেন, সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক কিছু শিখেছেন। প্রেমের খাতিরে কেরিয়ারের মধ্যগগনে থেকেও অনেক ভাল সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকায় ছিল তামিল হিট 'ভরসাম'। সেই জন্য অবশ্য ইজাজ খানকে সরাসরি দায়ী করেননি, তবে সঙ্গীর মন বুঝতে গিয়ে জীবনে অনেকটা ক্ষতি করে ফেলেছেন সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। জীবনের সেই খারাপ সময় নিয়ে আজও কোনও অনুতাপ নেই অনিতার। কারন তাঁর মতো চড়াই-উৎরাই, উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই জীবন অতিবাহিত হয়।
আরও পড়ুন শেফালির মৃত্যুর ৭ দিন পর নীরবতা ভাঙলেন তারকা স্বামী, পরাগ জানালেন...
Hauterrfly-কে অনিতা বলেছিলেন, ইজাজ ইসলাম ধর্মাবোলম্বী হওয়ায় অনিতার মা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। কিন্তু, তিনি মনেপ্রাণে ইজাজকে ভালবাসতেন। এই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মুহূর্তটা মনের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছিল। সেই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন অনিতা। ইজাজের সঙ্গে প্রেম ভাঙা প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সংযোজন, 'যদি কেউ তোমাকে বদলে তোমার প্রেমে পড়তে চায় তাহলে সেটা মোটেই প্রকৃত ভালবাসা নয়। কিন্তু, তখন আমি প্রেমে অন্ধ। তাই তখন ভালবাসার মানুষের জন্য নিজেকে বদলে ফেলেছিলাম। এখন মনে হয়, যদি নিজেকে না বদলাতাম তাহলে আজ একজন অন্য মানুষ হতাম।'