একদিকে কেরিয়ারে সাফল্য, অন্যদিকে সিনে দুনিয়ায় সুপার উইক। লক্ষ্মী ছেলের সাফল্যে গর্বিত উজান গঙ্গোপাধ্যায়। আদতে সে নিজেও একজন লক্ষ্মী ছেলে। সিনেমার ৫০ দিন, খুশী ধরছে না উজানের।
Advertisment
দীর্ঘ ৫০ দিন ধরে চলছে লক্ষ্মী ছেলে। বলাই বাহুল্য, সিনেমাটি নিদারুণ ভালবাসা পেয়েছে দর্শকদের থেকে। তাঁর থেকেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এহেন এক সামাজিক বার্তামূলক ছবি- সমাজের গোঁড়ামি এবং কুসংস্কারকে তথা এই প্রজন্মকে যেভাবে ভাবিয়ে তুলেছে তা প্রশংসার যোগ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ উজান। আমির হুসেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
লিখলেন, লক্ষ্মী ছেলে ৫০ দিন সম্পূর্ণ করল। তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘ এতদিন বেঁচে রয়েছে আমির হুসেন। তাঁর সাহসিকতার গল্প বুনেছিল লক্ষ্মী ছেলে। উজান লিখলেন, আমার দর্শককে ধন্যবাদ। কিন্তু তাঁর থেকেও বেশি কৃতজ্ঞ আমার মেকআপ ম্যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি। যিনি আমাকে এই রক্তাক্ত রূপ দান করেছিলেন। এরকম এক দৃশ্যে এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভিনয় করতে পেরেছিলাম। ব্যাথাহীন রক্ত এবং অসুস্থতায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম।
এখানেই শেষ নয়। সিনেমায় আমিরের শেষ পরিণতি কাঁদিয়ে ছিল দর্শকদের। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে তাঁর এহেন পরিণতি, যেন আশা করতে পারেননি অনেকেই। তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, যারা আমায় ওভাবে দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন- আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে অন্যায় এবং গোঁড়ামি যদিও খুন করতে পারে, মাথার খুলি ভেঙে দিতে পারে, এটি কখনই তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পারে না।
কিছুদিন আগেই অক্সফোর্ডে কনভোকেশনে পৌঁছেছিলেন উজান। সিনেমা এবং সাহিত্যে ফার্স্ট ক্লাস ডিস্টিংশন পেয়েছেন তিনি। সিনে দুনিয়ার তো বটেই, বাবা মায়েরও লক্ষ্মী ছেলে সে।