বিশ্বখ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি রবিবার বলেন, বলিউড মূলত বক্স অফিস নির্ভর, কিন্তু তাঁর দেশ ইরানে সিনেমা লড়াই করে সামাজিক বিষয় ও রূঢ় বাস্তবের সঙ্গে। ২০১৫ সালের মাজিদির তৈরি ছবি 'মহম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অফ গড' দেখানো হবে চলচ্চিত্র উৎসবে। এবছর পরিচালকের আরও একটি ছবি, 'বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস'-ও দেখানো হচ্ছে ২৪তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে।
দুটো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থক্য জানতে চাওয়া হলে মাজিদি বলেন, "যেখানে বলিউড মূলত বক্স অফিস নির্ভর, ইরানে ছবিগুলো লড়াই করে সামাজিক বিষয় ও রূঢ় বাস্তবের সঙ্গে। বলিউড ছবি সবটাই বক্স অফিস কালেকশন নির্ভর, যদিও সেটা কর্মাশিয়ালি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ভারতে সামাজিক ইস্যু ও বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং বিষয়ের ওপর ছবি তৈরি হয়। এখানে সবটাই ভারসাম্য মেনে চলে। ভারতের নতুন প্রজন্ম যদি সমর্থন পায় তাহলে তারা ভাল স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কে জানে, আমরা নতুন সত্যজিৎ রায়কেও পেতে পারি।"
আরও পড়ুন: সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার পর নতুন রূপে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে উদয় শঙ্করের ‘কল্পনা’
মাজিদ মাজিদি বিখ্যাত চিল্ড্রেন অফ হেভেন, দ্য কালার অফ প্যারাডাইস এবং দ্য সঙ অফ স্প্যারোর মতো ছবির জন্য। তিনি প্রমাণ করেছেন, ভাষা সিনেমার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
ভারতে ছবির সেন্সরশিপ নিয়ে মাজিদি জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা সরকারের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে সমস্যা থাকবেই। তিনি বলেন, "সেন্সর বোর্ড পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গিকে এক রেখে নিজেদের মতো করে আইন লাগু করলে সেটা ভাল। ইরানে দুটো সরকার পর পর দুধরনের ছবির মানদন্ড নির্ধারণ করেছিল। নিজের রাস্তা খুঁজে বার করাটাই পরিচালকের কাছে চ্যালেঞ্জ।"
Read the full story in English