New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/31/vNGOg7frUP7TRmkZuacl.jpg)
দাম্পত্য ভাঙার জন্য ইন্দ্রনীলই দায়ী: বরখা
Barkha Bisht On Indranil Sengupta: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের সম্পর্কে ইতি বরখার। দাম্পত্য ভাঙার জন্য ইন্দ্রনীলের বিশ্বাসঘাতকতাই দায়ী। শত চেষ্টা করেও বিয়েটা শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রপাখতে পারেননি।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক বরখা।
দাম্পত্য ভাঙার জন্য ইন্দ্রনীলই দায়ী: বরখা
Barkha Bisht: একটা সময় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত ছিল ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপল। দীর্ঘ ১৫ বছরের সুখী দাম্পত্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। চার বছর আলাদা রয়েছেন বরখা-ইন্দ্রনীল। হিন্দি মেগার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও অভিনয় করছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর খাদানের হাত ধরে টলিপাড়ায় প্রত্যাবর্তন বরখা বিস্তের। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈবাহিক জীবন ও বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন। সেখানেই ইন্দ্রনীলকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন বরখা। প্রকাশ্যে বলে দেন, ইন্দ্রনীল তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দাম্পত্য বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি বরখা। হাঁড়ির খবর ফাঁস করে দিলেন ইন্দ্রনীলের 'প্রাক্তন' বরখা।
ইন্দ্রনীলের বৈবাহিকজীবনে ঝড় ওঠার বেশ কিছুদিন আগে থেকেইটলি অভিনেত্রী ইশা সাহার সঙ্গে নাম জড়ায় অভিনেতার। শুটিং সেটে ইশার জন্মদিনও সেলিব্রেট করেন ইন্দ্রনীল। যদিও পরকীয়ার অভিযোগ উঠলেও তা বারবার অস্বীকার করেছেন ইন্দ্রনীল। অন্যদিকে মুখেকুলুপ এঁটেছেন ইশাও। কিন্তু, বরখার বক্তব্য, ইশা প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীলকে প্রশ্ন করলে তিনি যে উত্তর দেন তা মোটেই সন্তুষ্ট হননি। পরকীয়ার সম্পর্ক আছে জেনেও দুবছর ইন্দ্রনীলের সঙ্গে সংসার করেছেন বরখা। কিন্তু, ইন্দ্রনীলই তাঁদের দীর্ঘ ১৫ বছরের বিবাহিতজীবনকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি।
বরখা বলেন, 'সংসার থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইন্দ্রনীলের সিদ্ধান্ত ছিল। আর তার নেপথ্য কারণটা ওঁর থেকে ভাল আর কেউ জানে না। আমার হাতে যদি বিষয়টা থাকত তাহলে আমি সাজানো সংসার কখনও ভাঙতে দিতাম না। আমরা সুখী দাম্পত্যেই ছিলাম। বিয়ের চার বছর পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে সবকিছুতে আমাকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়। সেগুলোও আমি হাসি মুখে মেনে নিয়েছিলাম।'
ইন্দ্রনীলের সঙ্গে সংসার কেন ভাঙল? জবাবে বরখা বলেন, 'প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা, অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো সবটাই ঘটেছে। সেটা অবশ্যই ওঁর পছন্দ। এগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে সেটা তো করেই ফেলেছেন। আমি সেই সকল মহিলাদের দলেই ছিলাম যাঁরা বলেন আমার স্বামী ঠকালে বিয়ে ভেঙে দেব। কিন্তু, বাস্তবে সত্যিই যখন ঘটনাটা ঘটে সেটা মোটেই খুব একটা সহজ নয়। সবকিছু জেনেও বিয়েটাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ইন্দ্রনীলকে ক্ষমা করে দিয়ে আরও দুবছর এক ছাদের নীচে থেকেছি।'
ইন্দ্রনীলের থেকে বিচ্ছেদ তাঁকে একটা সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা দিয়েছে। মানসিক যন্ত্রণা কী , সেটা তখন অনুভব করেছেন। বরখা বলেন, 'একজন মহিলা সব সহ্য করতে পারে কিন্তু, বিশ্বাসঘাতকতা নয়। মানুষের উপর থেকে আমার একটা সময় বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল। আজও কোথাও একটা প্রেম, বিয়ে-তে আমি মনকে সম্পূর্ণ সায় দিতে পারি না।'